ঢাকা: ঝালকাঠি-২ আসনে ইলেন ভুট্টোর সম্ভাব্য মনোনয়ন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি ও চেয়ারপারনের ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটির সদস্য জীবা আমিনা আল গাজী। তিনি অভিযোগ করে বলেন, ইলেন ভুট্টোর সঙ্গে আওয়ামী লীগের ঠিকাদার শ্রেণির অনেকেই যুক্ত আছেন। আমার এলাকার মানুষ বলে, উনি তো ‘ঠিকাদার লেডি’— একজন হ্যান্ডব্যাগ ক্যারিয়ার ছাড়া আর কিছু নন। উনাকে আবার মনোনয়ন দিলে কোনো উন্নয়নই হবে না।
রোববার (৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় গুলশানে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে জীবা আমিনা এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘বিগত দিনের অভিজ্ঞতা ও উন্নয়নহীনতার কারণে নলছিটির মানুষ ইলেন ভুট্টোর পরিবর্তে নতুন নেতৃত্ব প্রত্যাশা করছে।’
জীবা আমিনা অভিযোগ করেন, ঝালকাঠি-২ আসনে মনোনীত প্রার্থী ইলেন ভুট্টো অতীতে নিজের ইউনিয়নেও উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন করতে পারেননি। তার দাবি, ইলেন ভুট্টো আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলেছেন। ফলে স্থানীয় বিএনপি অনুসারীদের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে।
বিএনপির এই নেত্রী আরও প্রশ্ন রাখেন, ‘আমরা এমন একজনকে কেন বেছে নেব, যিনি জনগণের পাশে ছিলেন না, এলাকায় কোনো উন্নয়ন আনতে পারেননি?’ তিনি আরও বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হবে নতুন ভোটাররা। তাদের মতামতই নির্ধারণ করবে আগামী বাংলাদেশের রাজনৈতিক রূপরেখা। তাই প্রার্থী বাছাইয়ে দলকে অত্যন্ত সতর্ক থাকতে হবে।’
মনোনয়ন না পাওয়ার সম্ভাবনা প্রসঙ্গে জীবা আমিনা স্পষ্ট করে জানান, তিনি কোনোভাবেই স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেবেন না। তিনি বলেন, ‘আমি বেগম খালেদা জিয়ার রাজনীতি করেছি, তার বিরুদ্ধে যাওয়া আমার পক্ষে সম্ভব নয়। আমাদের প্রতিষ্ঠাতা শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শে বিশ্বাসী আমি, আর আমাদের নেতা তারেক রহমান দেশের নতুন আকাঙ্ক্ষার প্রতীক।
সংসদ সদস্যের ভূমিকা প্রসঙ্গে জীবা আমিনা বলেন, ‘পার্লামেন্টে যাওয়া শুধু আসন দখলের জন্য নয়— সেখানে কাজ করার, নীতি নির্ধারণে ভূমিকা রাখার প্রয়োজন আছে। কিন্তু আমি কখনো দেখি না ইলেন ভুট্টো সংসদে কোনো বিষয়ে কথা বলেছেন।’
তিনি আরও বললেন, ‘আমরা ঝালকাঠির মানুষ— শিক্ষিত, চিন্তাশীল ও উন্নয়নপ্রত্যাশী। তাই আমাদের প্রতিনিধিত্ব এমন কেউ করবেন, যিনি সত্যিই জনগণের জন্য কাজ করবেন এবং দলের শক্তি বৃদ্ধি করবেন—এটাই আমাদের প্রত্যাশা।’