রাবি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক ড. আব্দুল আলিম বলেছেন, ‘সারাদেশের গ্রামে-গঞ্জে যখন ইলেকশনের ফ্লো উঠেছে তখনি আমরা দেখতে পাচ্ছি, একটি গোষ্ঠী ইলেকশনকে বানচাল করার জন্য ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। এ বিষয়ে আমরা সবাই সতর্ক থাকবো এবং আগামী নির্বাচনে জাতীয়তাবাদী আদর্শের প্রতীক ধানের শীষে ভোট দিয়ে একটি সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করবো।’
সোমবার (১০ নভেম্বর) সকালে ‘৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম কর্তৃক আয়োজিত র্যালি শেষে এমন কথা বলেন তিনি।
এসময় তিনি আরও বলেন, ‘স্বাধীনতার পর তত্কালীন সরকার বাকশাল প্রতিষ্ঠা করে সারাদেশে দুর্ভিক্ষ ও রাহাজানি সৃষ্টি করেছিল। সেই মূহূর্তে তত্কালীন মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমানকে দেশের আপামর সাধারণ জনতা রাষ্ট্রের কান্ডারী হিসেবে দাঁড় করেছিলেন। তারপর আমরা দেখেছি দেশ কিভাবে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে গিয়েছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘স্বাধীনতার ৫০ বছর পর আমরা আন্দোলনের মাধ্যমে ১৭ বছরের সৈরাচারকে উৎখাত করলাম। আমরা আশা করেছিলাম ৫ আগস্টের পরে দেশ একটা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফিরে আসবে। কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি কিন্তু কুচক্রীমহল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন জায়গায় মব সৃষ্টির মাধ্যমে গণতান্ত্রিক কার্যক্রমকে বাঁধা সৃষ্টি করছে। সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক সরকার গঠনে একটি জাতীয় নির্বাচন প্রয়োজন। আমরা আশাকরি আগামী জাতীয় নির্বাচন সবচেয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে।’
ফোরামের সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. আমিরুল ইসলাম বলেন, ‘১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর সিপাহী জনতার আন্দোলন ছিল একদলীয় শাসন ব্যবস্থার বিরুদ্ধে। খালেদ মোশাররফের অধীনে যে ক্যু হয়েছিল, বাকস্বাধীনতা খর্ব করার ও একদলীয় সরকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য তারা তত্কালীন সেনাপ্রধান শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে বন্দী করেছিলেন। সিপাহীরা তার প্রতি ভালোবাসার কারণেই তাকে মুক্ত করেছিল। এরপর তিনি বিএনপির প্রতিষ্ঠা করে বহুদলীয় সরকার প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘দেশে যখনই ষড়যন্ত্র হয়েছে, তখনই বিএনপি হাল ধরেছে। এদেশে আবারো নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে। আমরা চাই একটা সুষ্ঠু ও গণতান্ত্রিক উপায়ে নির্বাচন হোক। আমরা চাই জাতীয়তাবাদী দল সেই সিপাহী জনতার উদ্দেশ্যে সফল করার জন্য আগামী নির্বাচনে বিএনপির প্রতীক ধানের শীষ বিপুল ভোটে বিজয়ী হোক।’
এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. ইফতেখারুল আলম মাসউদ, অধ্যাপক পারভেজ আজহারুল হক প্রিন্স, অধ্যাপক মতিয়ার রহমান, অধ্যাপক তোফাজ্জল হোসেন, জিয়া পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক হাবিবুর রহমানসহ অন্যান্য জাতীয়তাবাদী আদর্শের শিক্ষকসহ, বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।