ঢাকা: বাগেরহাটের চারটি আসন আগের মতো রাখা নিয়ে আদালতের আদশের কপি পাওয়ার পর পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
সোমবার (১০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ‘আদালতের রায়ের কপি পাওয়ার পর তা পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে কমিশন।’
গত ৪ সেপ্টেম্বর জাতীয় সংসদের ৩০০ আসনের সীমা পুনর্নির্ধারণ করে গেজেট প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। এতে বাগেরহাটের একটি আসন কমিয়ে চারটি থেকে তিনটি এবং গাজীপুরে একটি বাড়িয়ে ছয়টি করা হয়েছে।
প্রকাশিত সেই গেজেট অনুযায়ী, বাগেরহাট সদর, চিতলমারী ও মোল্লাহাট নিয়ে বাগেরহাট-১; ফকিরহাট, রামপাল ও মোংলা নিয়ে বাগেরহাট-২; আর কচুয়া, মোরেলগঞ্জ ও শরণখোলা নিয়ে বাগেরহাট-৩ আসন গঠন করা হয়। এর ফলে আগের বাগেরহাট-৪ আসন বাদ যায়।
ইসির ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অর্থাৎ বাগেরহাটে চারটি আসন বহালের আবেদন জানিয়ে হাইকোর্টে দুইটি রিট আবেদন করা হয়। বাগেরহাট প্রেসক্লাব, জেলা আইনজীবী সমিতি, জেলা বিএনপি, জেলা জামায়াতে ইসলামী, জেলা ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, জেলা ট্রাক মালিক সমিতি এ রিট মামলা দুইটি করে। এতে বাংলাদেশ সরকার, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশন সচিব ও অ্যাটর্নি জেনারেলকে বিবাদী করা হয়।
গত ১৬ সেপ্টেম্বর রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে চারটি সংসদীয় আসন বহাল রাখতে কেন নির্দেশনা দেওয়া হবে না এবং চারটি আসন থেকে একটি কমিয়ে তিনটি করে নির্বাচন কমিশনের গেজেট কেন অবৈধ হবে না, তা জানাতে রুল জারি করা হয়। এতে জবাব দিতে বলা হয় নির্বাচন কমিশনসহ সংশ্লিষ্টদের।
সোমবার রিট আবেদনের শুনানি করে ওই রুল যথাযথ ঘোষণা করে বাগেরহাটের আগের চারটি আসন বহাল রাখার নির্দেশ দেন বিচারপতি শশাঙ্ক শেখর সরকার ও বিচারপতি ফয়সাল হাসান আরিফের হাই কোর্ট বেঞ্চ।