ঢাকা: বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তার ফেসবুক পেজে একটি ব্যাগের ছবি শেয়ার করে আবেগঘন একটি পোস্ট দিয়েছেন। গত বছর জেলে থাকাকালীন সময়ে এক কারাবন্দী তাকে নিজের হাতে ব্যাগটি বানিয়ে দেয়। ফখরুল ব্যাগটি সেই সময় তার মেয়েকে দেন। সেইসঙ্গে তিনি জেলে থাকার সময় তার কিছু অভিজ্ঞতার কথাও উল্লেখ করেন ওই পোস্টে।
পোস্টে মির্জা ফখরুল অভিযোগ করেন যে, গত বছরের অধিক সময় ধরে সারাদেশে দলের লাখ লাখ কর্মী মিথ্যা মামলায় জেলে যান। এসব মামলার প্রত্যাহার ও বিচার দাবি করেন তিনি।
তিনি পোস্টে বলেন, ‘গত ১৫ বছরে দেশের জেলে লাখ লাখ কর্মী বন্দী ছিলেন, অনেকেই মিথ্যা মামলায়।’
নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করে ফখরুল জানান, তিনি নিজেও আওয়ামী লীগের দায়ে করা ১১০টিরও বেশি মামলার আসামি ছিলেন। ময়লার গাড়ি পোড়ানো থেকে শুরু করে হত্যা পর্যন্ত বিভিন্ন অভিযোগ আনা হয়েছিল তার বিরুদ্ধে যা মিথ্যা বলে দাবি করেন তিনি।
তিনি উল্লেখ করেন যে, প্রায় আড়াই বছর জেলে কাটিয়েছেন তিনি এবং সাতবার তার জামিন বাতিল হয়েছে।
ফখরুল তার স্ট্যাটাসে এক ব্যক্তিগত মুহূর্তের অভিজ্ঞতা শেয়ার করে লিখেছেন, একবার তার মেয়ে যখন তার সঙ্গে দেখা করতে আসেন। তখন তিনি মেয়েকে একটি ব্যাগ দিয়েছিলেন যেটি জেলের ভেতরে এক বন্দী বানিয়েছিলেন।
এই বিষয়ে তিনি বলেন, ‘জানিনা, কাউকে কল্পনায় রেখে সে ব্যাগটি বানিয়েছিল কিনা। এই ধরনের ছোট ছোট ঘটনা জেল জীবন ও পরিবারকে কীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে তা প্রতিফলিত করে।’
তিনি বলেন, ‘জেলে থাকা অনেকের ওপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচারের দাগ রয়ে গেছে। তারা গৃহবন্দী হয়ে গেছে। তাদের পড়াশোনা হয়নি, সংসার গড়া হয়নি, পরিবারের আর্থিক ও সামাজিক অবস্থান ধ্বংস হয়ে গেছে। মাঠের রাজনীতি না করা মানুষরা এই সংগ্রাম বুঝতে পারবে না।’
বিএনপি মহাসচিব স্ট্যাটাসে দাবি করে বলেন যে, ‘দেশের প্রতিটি রাজনৈতিক নেতা ও কর্মীর বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের করা সব মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার করা হোক। হাসিনা সরকার ও তার অনুসারীদের alleged (বলিষ্ঠভাবে বলা হলে) অপরাধের বিচার নিশ্চিত করা হোক। বিএনপি প্রতিশোধে বিশ্বাসী নয়, তারা প্রকৃত অন্যায়কারীর বিরুদ্ধে মামলা করবে এবং শাস্তি নিশ্চিত করবে কিন্তু নিরপরাধদের হয়রানি বন্ধ করতে হবে।’