ঢাকা: জুলাই হত্যা মামলায় ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির রায়ের দিন ধার্য নিয়ে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে বিরাজ করছে উত্তেজনা। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সামনে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) সকালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সামনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সতর্ক অবস্থানে থাকতে দেখা গেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, হাসিনার রায়ের দিন ধার্য নিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সামনে সেনাবাহিনী, র্যাব, পুলিশ ও সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কঠোর নিরাপত্তা বলয় তৈরি করেছে। যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে তৎপর রয়েছেন তারা।
এছাড়াও, রাজধানীজুড়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরাও পাহারা বসিয়েছেন।

এদিকে শেখ হাসিনার রায়ের দিন ধার্য নিয়ে ১৩ নভেম্বর ‘ ঢাকা লোকডাউন’ করার ঘোষণা দেয় আওয়ামী লীগ। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত কয়েকদিন রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ ও গণপরিবহনে অগ্নিসংযোগ করেছে দূর্বৃত্তরা।
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনার ভাগ্যে কি অপেক্ষা করছে, রায়ের সেই দিন নির্ধারণ হবে আজ। বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন ৩ সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ আলোচিত এ মামলার দিনক্ষণ ঠিক করবেন।
জুলাই হত্যাযজ্ঞের মামলায় শেখ হাসিনার রায়ের দিন ধার্য হবে ১৩ নভেম্বর- এমন ঘোষণা আসে গত ২৩ অক্টোবর। কিন্তু নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা রায়ের তারিখের নির্ধারণকে কেন্দ্র করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও তাদের অপকর্ম ও নাশকতামূলক তৎপরতা পর্যবেক্ষণে রেখেছে।
মামলার শুনানিতে উঠে এসেছে জুলাই আন্দোলনের সময় শেখ হাসিনা সেনাবাহিনীকে উসকে দিয়ে গৃহযুদ্ধ লাগানোর চেষ্টাও করেছিলেন। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে করা প্রসিকিউশনের মামলার বিচার শুনানি ও সাক্ষ্যপ্রমাণে এমন ভয়াবহ চিত্র উঠে এসেছে। জুলাই আন্দোলনে শহিদ পরিবারের সদস্য, আহত ব্যক্তি ও চিকিৎসকসহ মোট ৫৪ জন সাক্ষ্য দেন। তাদের সাক্ষ্যে জুলাইয়ের গণহত্যা, নৃশংসতা, আওয়ামী লীগ সরকারের সময়কার গুম-খুনসহ নানা ভয়ংকর নির্যাতনের চিত্র উঠে আসে।