ঢাকা: মেয়াদি মিউচ্যুয়াল ফান্ডের নতুন অনুমোদন প্রক্রিয়া বন্ধ রেখে ‘বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (মিউচুয়াল ফান্ড) বিধিমালা, ২০২৫’ এর গেজেট প্রকাশিত হয়েছে।
বুধবার (১২ নভেম্বর) বাংলাদেশ গেজেটের অতিরিক্ত সংখ্যায় এই বিধিমালাটি প্রকাশিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি জানিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
বিজ্ঞপ্তিতে বিএসইসি জানিয়েছে, নতুন এই বিধিমালা গেজেট আকারে প্রকাশিত হওয়ায় এটি কার্যকর হলো।
নতুন বিধিমালা কার্যকর হওয়ায় এখন থেকে আর কোনো নতুন মেয়াদি স্কিম অনুমোদন দেওয়া হবে না। ভবিষ্যতে শুধু বেমেয়াদি (ওপেন-এন্ড) ফান্ডের অনুমতি মিলবে।
তবে, বিদ্যমান মেয়াদি স্কিমের জন্য রাখা হয়েছে বিশেষ বিধান। গেজেট প্রকাশের ছয় মাসের মধ্যে যদি কোনো স্কিমের ইউনিটপ্রতি গড় লেনদেন মূল্য স্কিমটির ক্রয়মূল্য বা বাজারে ঘোষিত নিট সম্পদমূল্যের মধ্যে যেটি বেশি হয়, তার তুলনায় ২৫ শতাংশের বেশি কমে যায়, তাহলে ইউনিটহোল্ডারদের স্বার্থ রক্ষার্থে ফান্ডটির ট্রাস্টি বিশেষ সাধারণ সভা (ইজিএম) আহ্বান করতে পারবে। ইজিএমে উপস্থিত ভোটদাতা ইউনিটহোল্ডারদের তিন-চতুর্থাংশ সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট এবং বিএসইসির অনুমোদন সাপেক্ষে স্কিমটিকে বেমেয়াদিতে রূপান্তর অথবা অবসায়ন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে। এক্ষেত্রে শর্ত হলো ছয় মাস শেষ হওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে রেকর্ড ডেট ঘোষণা করতে হবে। রেকর্ড ডেটের ২১ দিনের মধ্যে ইজিএম করতে হবে।
এছাড়া, মিউচ্যুয়াল ফান্ড বা এর স্কিমের অর্থ শুধু স্টক এক্সচেঞ্জের মূল বোর্ডে তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজে বিনিয়োগ করা যাবে। পাশাপাশি প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) বা পুনরায় গণপ্রস্তাব (আরপিও), রাইট শেয়ার ও সরকারি সিকিউরিটিজে বিনিয়োগ করা যাবে। তবে, মূল বোর্ড থেকে তালিকাচ্যুত সিকিউরিটিজ, অল্টানেটিভ ট্রেডিং বোর্ড (এটিবি) বা এসএমই প্লাটফর্মের সিকিউরিটিজে বিনিয়োগ করা যাবে না।
তবে শর্ত রয়েছে, বিনিয়োগের পর মূল বোর্ড থেকে কোনো সিকিউরিটিজ তালিকাচ্যুত হলে বা এটিবি কিংবা এসএমই বোর্ডে স্থানান্তরিত হলে তালিকাচ্যুতির ছয় মাসের মধ্যে বিনিয়োগ প্রত্যাহার করতে হবে। ফান্ডের অর্থ ‘এ’ ক্যাটাগরির নিচের ক্রেডিট রেটিংসম্পন্ন কোনো বন্ড, ডেট সিকিউরিটিজ কিংবা ইসলামী শরিয়াহভিত্তিক সিকিউরিটিজে বিনিয়োগ করা যাবে না।