ঢাকা: গণতান্ত্রিক ধারায় ফিরে যাওয়ার ক্ষেত্রে নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্রের জন্য মানুষ প্রাণ দিয়েছে, কিন্তু তা চর্চার সুযোগ পায়নি। বারবার গণতন্ত্রকে ধ্বংস করা হয়েছে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে একটি গণতান্ত্রিক শক্তিই একসময় বাকশাল প্রতিষ্ঠা করে গণতন্ত্রকে হত্যা করেছিল।’
বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে ‘জাতীয় ঐক্যের প্রয়োজনীয়তা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার সুযোগ এসেছে। আর গণতান্ত্রিক ধারায় ফিরে যাওয়ার জন্য নির্বাচনই একমাত্র বিকল্প।’
তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্র মেরামতের জন্য যে সংস্কার প্রক্রিয়া চলছে, সেটির মূল উদ্যোগ নিয়েছে বিএনপি। আমরাই রাষ্ট্র সংস্কারের ৩১ দফা দিয়েছি। সংস্কারের সব উদ্যোগ বিএনপিই শুরু করেছে। ভিন্নমত থাকবেই, সবাই একমত হবে না। আজ প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য নিয়েও ভিন্নমত থাকতে পারে। তবে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন পার্লামেন্ট গঠিত হবে, তারা সব বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।’
পিআর বা প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন (অনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব) পদ্ধতির প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘পিআর চাপিয়ে দেওয়ার বিষয় নয়। সাধারণ মানুষ এখনো এ ধারণা বোঝে না। জনগণকে আগে প্রস্তুত করতে হবে, বোঝাতে হবে—এরপরই এ ধরনের পরিবর্তন টেকসই হতে পারে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপি সব ফ্যাসিস্টবিরোধী শক্তিকে সঙ্গে নিয়ে জাতীয় সরকার গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে। আমরা সবাইকে সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই। ঐক্যবদ্ধভাবে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনই এখন সময়ের দাবি।’
আলোচনা সভায় বিএনপি এবং এর সহযোগী সংগঠনের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।