পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহসিন নাকভি বলেছেন, এই সপ্তাহে পাকিস্তানে দুটি আত্মঘাতী বোমা হামলা আফগান নাগরিকেরা চালিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) রয়টার্সের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।
টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচারিত সংসদের এক অধিবেশনে তিনি জানান, এই হামলাগুলোতে জড়িত উভয় বোমারুকেই আফগান নাগরিক হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে।
নাকভি বলেন, ‘এটি আমাদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ, গুরুতর উদ্বেগের বিষয়। পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষ বার বার কাবুলে আফগান তালেবান প্রশাসনের কাছে নিরাপত্তার বিষয়টি তুলেছে।’
তিনি পাকিস্তানি বাহিনীর ওপর হামলাকারী ইসলামপন্থী জঙ্গিদের সমর্থন করার জন্য আফগান তালেবানকে দায়ী করেন।
এ বিষয়ে কাবুলের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
গত মঙ্গলবার ইসলামাবাদে একটি নিম্ন আদালতের বাইরে পুলিশ টহলের কাছে একজন আত্মঘাতী বোমারু নিজেকে উড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় ১২ জন নিহত এবং ২৭ জন আহত হন।
এর আগে সোমবার আফগান সীমান্তের কাছে দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তান জেলায় একটি সামরিক স্কুলের প্রধান ফটকে একজন বোমারু বিস্ফোরক ভর্তি একটি গাড়ি নিয়ে ধাক্কা মারে, এতে তিনজন নিহত হন।
এরপর ‘জঙ্গি’রা স্কুলটিতে প্রবেশ করে, যেটি সামরিক বাহিনী দ্বারা পরিচালিত হলেও সেখানে বেসামরিক শিক্ষার্থীদের শিক্ষা দেওয়া হয়। এর ফলে পাকিস্তানি সৈন্যদের সঙ্গে তাদের লড়াই শুরু হয়, যা ২৪ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলে যতক্ষণ না সমস্ত হামলাকারী নিহত হয়।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের সম্পর্ক টানাপোড়েনের মধ্যে রয়েছে। ইসলামাবাদ অভিযোগ করে আসছে, সীমান্তের ওপারে আশ্রয় নেওয়া জঙ্গিরা পাকিস্তানের ভেতরে হামলা চালাচ্ছে। অন্যদিকে, কাবুল পাকিস্তানে হামলা চালানোর জন্য জঙ্গিদের নিরাপদ আশ্রয় দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে। গত মাসে দুই দেশের মধ্যে সীমান্ত সংঘর্ষে ডজনখানেক সেনা ও বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছিল।