Friday 14 Nov 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ড্রামে ২৬ টুকরা মরদেহ উদ্ধার: বন্ধুকে আসামি করে মামলা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
১৪ নভেম্বর ২০২৫ ১৭:০৫

ঢাকা: রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ মাঠের গেটের কাছে ড্রাম থেকে ব্যবসায়ী আশরাফুল হকের (৪৩) খণ্ডিত ২৬ টুকরা মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় নিহতের বন্ধু জরেজকে (৪২) প্রধান আসামি করে হত্যা মামলা করেছে নিহতের পরিবার।

শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) নিহত আশরাফুল হকের ছোট বোন মোছা. আনজিনা বেগম বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় মামলা করেছেন।

নিহত আশরাফুলের গ্রামের বাড়ি রংপুরের বদরগঞ্জের গোপালপাড়ায়। তার বাবার নাম মো. আব্দুর রশিদ ও মায়ের নাম মোছা. এছরা খাতুন।

শাহবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ খালিদ মনসুর সারাবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, নিহত আশরাফুলের বন্ধু জরেজকে প্রধান আসামি করে তার বোন বাদী হয়ে মামলা করেছেন। মামলায় অজ্ঞাত আরও বেশ কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে। সিসিটিভি ফুটেজসহ অন্যান্য তথ্য বিশ্লেষণ করে দ্রুত জড়িতদের শনাক্ত করতে কাজ চলছে।

বিজ্ঞাপন

মামলার এজাহারে থেকে জানা যায়, আশরাফুল হক দিনাজপুরের হিলি বন্দর থেকে সারা দেশে পেঁয়াজ, রসুন, মরিচ, আলুসহ কাঁচামাল সরবরাহ করতেন। গত ১১ নভেম্বর রাত ৮টার দিকে আসামি জরেজকে নিয়ে ঢাকায় আসেন তিনি। এরপর থেকে আশরাফুলের ব্যবহৃত মোবাইল নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়। স্বজনদের সন্দেহ, আসামি জরেজ তার সহযোগী অজ্ঞাতনামা আসামিদের সহযোগিতায় গত ১১ নভেম্বর রাত থেকে ১৩ নভেম্বর রাতের মধ্যে যেকোনো সময় পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আশরাফুলকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন। হত্যার পর মরদেহ মোট ২৬টি খণ্ডে খণ্ডিত করে গুম করার উদ্দেশ্যে দুটি নীল রঙের ড্রামের ভেতর ভরে রেখে অজ্ঞাতস্থানে পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা।

এর আগে, গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে পুলিশ এসে ড্রাম দুটি খুলে অজ্ঞাতপরিচয় এক পুরুষের খণ্ডিত মরদেহ দেখতে পায়। তখন মরদেহ থেকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছিল। পরে দুটি নীল রঙের ড্রাম থেকে মরদেহ বের করা হয়। ড্রামের মধ্যে চাল ছিল এবং কালো পলিথিন দিয়ে মোড়ানো ছিল মরদেহের খণ্ডিত অংশগুলো।

এ বিষয়ে ডিএমপির রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম জানান, মঙ্গলবার বাড়ি থেকে আশরাফুল ঢাকায় আসেন। বুধবার রাত ৯টা পর্যন্ত পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে তার কথা হয়। এরপর আর যোগাযোগ হয়নি। ভারত ও মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ এবং আলু আমদানি করতেন তিনি। পণ্য আমদানির জন্য তার সরকারি লাইসেন্স রয়েছে।

সারাবাংলা/এসডব্লিউ
বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর