লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুরে চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম জহিরকে হত্যার ঘটনায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ‘সন্ত্রাসী’ ছাত্রদল নেতা পিচ্চি কাউছারের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে।
রোববার (১৬ নভেম্বর) নিহত জহিরের স্ত্রী ফেরদৌসী আক্তার পিচ্চি কাউছারকে এই হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ী করেছেন।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘সন্ত্রাসী পিচ্চি কাউছারের সঙ্গে জহিরের দ্বন্দ্ব ছিল। কিছুদিন আগেও তাদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়েছে।’
নিহত জহিরের স্ত্রীর অভিযোগ, সন্ত্রাসী কাউছার মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। সে তার স্বামীকে হত্যা করেছে।
অভিযুক্ত কাউছার চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন ছাত্রদলের সদস্য। তিনি একটি হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ও আরেকটি হত্যা মামলার ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি বলে জানা গেছে। কাউছারকে গত বছর ৭ আগস্ট ছাত্রদল থেকে বহিষ্কার করা হয়, পরে ৪ নভেম্বর তার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে কাউছারের বক্তব্য নেওয়ার চেষ্টা করেও সম্ভব হয়নি।
চন্দ্রগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফয়জুল আজীম বলেন, ‘মাদক ব্যবসা ও অন্তঃকোন্দলের কারণে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় সন্ত্রাসী পিচ্চি কাউসার জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। তার বিরুদ্ধে হত্যা ও অস্ত্র আইনে বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে। হত্যার ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
প্রসঙ্গত, শনিবার (১৫ নভেম্বর) রাতে পশ্চিম লতিফপুর গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপি নেতা জহিরকে হত্যা করা হয়। তিনি চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
আরও পড়ুন- লক্ষ্মীপুরে বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে হত্যা