ঢাকা: বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা এবং কৃষক-শ্রমিক-মেহনতি মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে মওলানা ভাসানীর আদর্শ আজও বিএনপির পথপ্রদর্শক ও দিকনির্দেশনা হিসেবে অনুসরণ করে।
রোববার (১৬ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে মাওলানা ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ‘ক্ষমতার নয়, মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চিন্তা সামনে রাখতে হবে। জনগণের পক্ষে থাকার যে পথ মওলানা ভাসানী দেখিয়েছেন, সেটিই অনুসরণ করেছেন শহীদ জিয়াউর রহমান, বেগম খালেদা জিয়া এবং এখন তারেক রহমান।’
দুদু অভিযোগ করেন, ব্রিটিশ ভারত থেকে পাকিস্তান, পরে স্বাধীন বাংলাদেশ—এই তিন পর্বে মওলানা ভাসানী ছিলেন নির্ভীক ও আপসহীন জনগণের নেতা।
তিনি বলেন, ‘ন্যায়ের প্রতি অটল থাকা, অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া—এসব গুণে তিনি ছিলেন অনন্য। সমালোচকরাও স্বীকার করেন, মওলানা ভাসানী ছিলেন কৃষক-শ্রমিক-মেহনতি মানুষের প্রকৃত বন্ধু।’
তিনি আরও বলেন, মওলানা ভাসানীর প্রতি সম্মান জানানো মানেই গণতন্ত্রকে শ্রদ্ধা করা। দুদুর ভাষ্য, ‘মওলানা ভাসানী শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে আশীর্বাদ ও দোয়া করেছিলেন। জিয়া সেই জনগণের পক্ষে থাকার পথই অনুসরণ করেছেন, যা এখনো বহন করছেন খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান।’
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইসতিয়াক আজিজ উলফাত, দলটির নির্বাহী কমিটির সদস্য মাইনুল ইসলামসহ অন্যান্য নেতারা।
কৃষকদলের সাবেক দপ্তর সম্পাদক এস কে সাদির সঞ্চালনায় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।