পিরোজপুর: পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে সংবাদ সংগ্রহের দায়িত্ব পালনকালে দৈনিক জনকণ্ঠের জেলা প্রতিনিধি নাছরুল্লাহ আল-কাফী এবং নাগরিক প্রতিদিনের জেলা প্রতিনিধি আরিফ বিল্লাহর ওপর উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা হামলা চালিয়েছে।রোববার (১৬ নভেম্বর) বিকেলে চন্ডিপুর এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় গুরুতর আহত দুই সাংবাদিক বর্তমানে পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
স্থানীয় সূত্র ও আহত সাংবাদিকদের বরাতে জানা যায়, তারা চন্ডিপুর এলাকায় ‘সুপারি কেনাবেচা ও পরিবহন-সংক্রান্ত’ একটি প্রতিবেদন তৈরির কাজ করছিলেন। একই সময় চন্ডিপুর ইউনিয়ন বিএনপির একটি সমাবেশ চলছিল। জানা যায়, বাজার ও সুপারি ট্রাকে তোলার দৃশ্য ভিডিও করার সময় বিএনপির কিছু উত্তেজিত নেতাকর্মী মনে করেন—সাংবাদিকরা সমাবেশস্থলের ফাঁকা চেয়ারের ভিডিও করছেন। এ সন্দেহ থেকেই তারা দুই সাংবাদিকের ওপর অতর্কিতভাবে হামলা চালায় এবং তাদের কাছে থাকা তিনটি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে ইন্দুরকানী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। অবস্থার অবনতি হলে রাতে দু’জনকেই জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়।
আহত সাংবাদিক নাছরুল্লাহ আল-কাফী বলেন, ‘আমরা সুপারি বাজারের ভিডিও সংগ্রহ করছিলাম। ঠিক সেই সময় সমাবেশস্থল থেকে কয়েকজন আমাদের ওপর হামলা করে। তারা তিনটি ফোন ছিনিয়ে নেয়, পরবর্তীতে একটি ফোন উদ্ধার হয়েছে।’
ঘটনার বিষয়ে উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. ফরিদ হোসেন বলেন, ‘সমাবেশস্থলের পেছনে কিছু খালি চেয়ার ছিল। কর্মীরা সন্দেহ করে মনে করেছে সাংবাদিকরা সেগুলোর ভিডিও করছেন। এতে উত্তেজনা সৃষ্টি হয় এবং ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। আমিও সাংবাদিকদের রক্ষা করতে গিয়ে আহত হয়েছি। ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এ বিষয়ে ইন্দুরকানী থানার ওসি (তদন্ত) মো. মোস্তফা জাফর জানান, ‘খবর পাওয়ার পরই পুলিশ ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। সাংবাদিকদের থানায় এসে অভিযোগ করার জন্য বলা হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
ঘটনার পর এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। স্থানীয় সাংবাদিক সমাজ হামলার নিন্দা জানিয়ে দ্রুত দোষীদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।