গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্রে (ডিআরসি) তামা ও কোবাল্ট খনিতে একটি অস্থায়ী সেতু ধসে কমপক্ষে ৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে। দক্ষিণ-পূর্ব লুয়ালাবা প্রদেশের কালান্ডো খনিতে শনিবার (১৫ নভেম্বর) এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে রোববার (১৬ নভেম্বর) নিশ্চিত করেছেন প্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রয় কউম্বে ময়োন্ডে।
ময়োন্ডে জানান, ভারী বৃষ্টি ও ভূমিধসের আশঙ্কায় খনি এলাকায় প্রবেশে আনুষ্ঠানিক নিষেধাজ্ঞা জারি থাকলেও বেপরোয়া খনিশ্রমিকরা জোর করে ভেতরে ঢুকে পড়ে। খনির ভেতরে বন্যায় সৃষ্টি হওয়া গর্ত পার হতে শ্রমিকরা একটি অস্থায়ী সেতু ব্যবহার করছিল। অতিরিক্ত ভিড়ের কারণে সেতুটি ভেঙে পড়লে তারা নিচে পড়ে যায়।
ডিআরসির আর্টিজানাল অ্যান্ড স্মল-স্কেল মাইনিং সাপোর্ট অ্যান্ড গাইডেন্স সার্ভিস-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঘটনাস্থলে সেনাদের গুলির শব্দে শ্রমিকরা আতঙ্কিত হয়ে ছুটতে শুরু করে, যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তোলে। আতঙ্কে সবাই ঝুঁকিপূর্ণ সেতুর দিকে দৌড় দিলে সেটি ধসে পড়ে বহু মানুষ একে অপরের ওপর চাপা পড়ে নিহত হয়।
যদিও ময়োন্ডে অন্তত ৩২ জনের মৃত্যুর কথা বলেছেন, যদিও প্রতিবেদনে মৃতের সংখ্যা ৪০ জনেরও বেশি বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, কালান্ডো খনিটি দীর্ঘদিন ধরে বেপরোয়া খনিশ্রমিক, খনি পরিচালনার দায়িত্বপ্রাপ্ত একটি সমবায় এবং চীনা সংশ্লিষ্টতাসহ বৈধ অপারেটরদের মধ্যে বিরোধের কেন্দ্রবিন্দু ছিল।
মানবাধিকার কমিশনের প্রাদেশিক সমন্বয়কারী আর্থার কাবুলো জানিয়েছেন, শুধুমাত্র কালান্ডো খনিতেই ১০ হাজারের বেশি বেপরোয়া শ্রমিক কাজ করে। ঘটনার পর প্রাদেশিক কর্তৃপক্ষ খনির সব কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে।
এদিকে, ইনিশিয়েটিভ ফর দ্য প্রোটেকশন অব হিউম্যান রাইটস সেনাবাহিনীর ভূমিকা নিয়ে স্বাধীন তদন্তের দাবি জানিয়েছে। শ্রমিকদের সঙ্গে সেনাদের সংঘর্ষের অভিযোগ উঠলেও সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য জানা যায়নি।