ঢাকা: জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনার রায় ঘোষণার দিন দুটি বুলডোজার নিয়ে রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে গেছে ছাত্র জনতা। এরপর তাদের ভেতরে ঢুকতে না দিলে উত্তেজনা তৈরি হয় এবং একপর্যায়ে ছাত্র-জনতার ওপর লাঠিপেটা করে ছত্রভঙ্গ করে দেয় সেনাবাহিনী ও পুলিশ।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে দেড়টার পর এই ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এরই মধ্যে নিরাপত্তা বাহিনী শক্ত অবস্থান নিয়েছে।
এর আগে, সেনাবাহিনী পুরো রাস্তা ঘিরে কড়া অবস্থান নেয়। অন্যদিকে এক্সকাভেটরসহ অবস্থান নেওয়া ছাত্র-জনতা আওয়ামী লীগ বিরোধী নানা স্লোগান দিয়ে পরিবেশ উত্তপ্ত করে তোলে। তাদের স্লোগানের মধ্যে ছিল—’মুজিববাদের আস্তানা এই বাংলায় হবে না’, ‘৩২ নম্বর বাড়িটি ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও’ ইত্যাদি।
সকাল সাড়ে ১১টার পর ঢাকা কলেজের মূল ফটক থেকে বিক্ষোভ মিছিলে বুলডোজার নিয়ে ধানমন্ডি ৩২-এর দিকে রওনা দেন তারা। এ সময় বুলডোজার মিছিলে শিক্ষার্থীরা দড়ি লাগলে দড়ি নে, হাসিনারে ফাঁসি দে, ফাঁসি ফাঁসি চাই, খুনি হাসিনার ফাঁসি চাই; ইন্টেরিম তুই কই যাবি, হাসিনারে ফাঁসি দিবি ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।
জানা যায়, শেখ হাসিনার বিচারের রায়ের দিনে তার সব স্মৃতিচিহ্ন মুছে দিতে সাধারণ ছাত্র-জনতার ব্যানারে এ কর্মসূচির আয়োজন করে। ধানমন্ডি ৩২ এ শেখ হাসিনার বাড়ি ভেঙে খেলার মাঠ তৈরি করা হবে।
এদিকে, আজ রায়কে কেন্দ্র করে সকাল থেকে ট্রাইব্যুনাল ও সুপ্রিম কোর্ট এলাকায় বাড়ানো হয়েছে কয়েক স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা। পুলিশ-র্যাব, এপিবিএন-বিজিবির পাশাপাশি নিয়োজিত রয়েছে সেনাবাহিনী। তৎপর গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরাও।
এর আগে, গত ১৩ নভেম্বর জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনার রায় আগামী ১৭ নভেম্বর ঘোষণা করা হবে জানায় বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।