ঢাকা: ভারতের সঙ্গে সইয়ের প্রত্যর্পণ চুক্তি অনুযায়ী মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খাঁন কামালকে বাংলাদেশের কাছে অবিলম্বে হস্তান্তরের আহ্বান জানিয়েছে এনসিপি সমর্থিত ন্যাশনাল ল’ইয়ার্স অ্যালায়েন্স। একইসঙ্গে ঘোষিত এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছে সংগঠনটি।
সোমবার (১৮ নভেম্বর) এক বিবৃতিতে তারা বলেন, ‘আজ বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থার জন্য একটি ঐতিহাসিক দিন। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা রেজিম কর্তৃক জুলাই বিপ্লবে ছাত্র-জনতার উপর নির্বিচারে গুম, খুনসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে দেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী, যদিও অবৈধ এবং শাসক দল আওয়ামী লীগের সভাপতি তথা সুপ্রিম লিডারকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন। সমস্ত আইনি প্রক্রিয়া মেনে তাকে সাজা দেওয়া হয়। এই রায় যারা ফ্যাসিস্ট হয়ে উঠতে চায়, তাদের জন্যও একটা বার্তা।’
ন্যাশনাল ল’ইয়ার্স অ্যালায়েন্স দাবি জানিয়ে বলেছে, ‘ভারতের সঙ্গে স্বাক্ষরিত প্রত্যর্পণ চুক্তি অনুযায়ী মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান কামালকে বাংলাদেশের কাছে অবিলম্বে হস্তান্তর করতে হবে, তাদেরকে তৃতীয় কোনো দেশে পাঠানো যাবে না অর্থাৎ যে সমস্ত দেশে মৃত্যুদণ্ডের বিধান নাই সেখানে পাঠানোর কোনো হীন প্রচেষ্টা যেন না করা হয়।’
অ্যালায়েন্স আরও মনে করে, সাবেক আইজিপি আবদুল্লাহ আল মামুনের শাস্তি কম হয়েছে, এ জন্য চিফ প্রসিকিউটরকে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আপিল দায়ের করার আহ্বানও জানানো হয়।
উল্লেখ, জুলাই বিপ্লবে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সোমবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে রায় ঘোষণা করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
রায়ে সাবেক শেখ হাসিনাকে ট্রাইব্যুনালের আনা পাঁচটি অভিযোগে মধ্যে একটিতে মৃত্যুদণ্ড এবং আরেকটিতে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আর সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে সবকটি অভিযোগে মৃত্যু দেন ট্রাইব্যুনাল।
অন্যদিকে মামলায় দোষ স্বীকার করে রাজসাক্ষী হওয়ায় সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে দেওয়া হয় পাঁচ বছরের কারাদণ্ড। এই সাজার বিরুদ্ধে তিনি ৩০ দিনের মধ্যে উচ্চ আদালতে আপিল করতে পারবেন।
আপিল করার এই সুযোগ শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালেরও আছে। তবে তাদেরকে আগে দেশে এসে আত্মসমর্পণ করে কারাগারে যেতে হবে। তারপর নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আপিল করতে হবে। তারপর সিদ্ধান্ত নেবে আদালত।