নরসিংদী: নরসিংদীর পলাশে ‘কনফিডেন্স সিমেন্ট ঢাকা লিমিটেড’র কারখানায় হামলার ঘটনায় স্থানীয় যুবদল নেতাকে প্রধান আসামি করে করা মামলা তুলে নিয়েছে কারখানা কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) দুপুরে নরসিংদী প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান কারখানার হেড অব লিগ্যাল অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার্স মো. লিপন হোসেন।
ওই যুবদল নেতার নাম মনিরুজ্জামান ওরফে মনির হোসেন।
মো. লিপন হোসেন জানান, চলতি বছরের ৩ জুলাই পলাশ উপজেলার ডাঙ্গা ইউনিয়নে অবস্থিত ‘কনফিডেন্স সিমেন্ট ঢাকা লিমিটেড’র ফ্যাক্টরিতে নদীপথে এসে একদল দুষ্কৃতকারী অতর্কিতভাবে হামলা চালায়। এ সময় কারখানার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করাসহ কোম্পানির কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ওপর হামলা করা হয়।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনার প্রাথমিক অবস্থায় সঠিক তথ্যের অভাবে এবং কিছু ভুল তথ্যের ভিত্তিতে ডাঙ্গা ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি মনিরুজ্জামান মনির হোসেনকে প্রধান আসামি করে ২৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৮-১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছিল। কনফিডেন্স সিমেন্ট ঢাকা লিমিটেড এর পক্ষে মো. নুরুল ইসলাম খন্দকার বাদী হয়ে পলাশ থানায় মামলাটি করেছিলেন।
পরবর্তীতে ঘটনাটি তদন্ত ও পর্যালোচনা করে কনফিডেন্স সিমেন্ট ঢাকা লিমিটেড কর্তৃপক্ষ উপলব্ধি করেন, মামলায় যাদের আসামি করা হয়েছিল, তাদের অধিকাংশ এই ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন না। ভিডিও ফুটেজসহ অন্যান্য প্রমাণাদি বিশ্লেষণের মাধ্যমে স্পষ্ট হয়, স্থানীয় কিছু দুষ্কৃতকারীর মিথ্যা তথ্যের ভিত্তিতেই এই মামলাটি হয়েছিল।
লিপন হোসেন বলেন, ‘মানবিক ও ন্যায়সঙ্গত দৃষ্টিকোণ থেকে বিবেচনা করে মামলা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কারখানা কর্তৃপক্ষ।’ যুবদল নেতা মনির হোসেনসহ যাদের বিরুদ্ধে মিথ্যাভাবে অভিযোগ আনা হয়েছিল, তাদের নিকট সাংবাদিকদের মাধ্যমে আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেন কারখানা কর্তৃপক্ষ। এতে বিএনপির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হওয়াটা অনিচ্ছাকৃত এবং অনভিপ্রেত বলে জানান তিনি।
তবে এ ঘটনায় পুরো মামলা তুলে নেওয়ার পেছনে কোনো চাপ আছে কি না সে বিষয়ে সদুত্তর দিতে পারেননি লিপন হোসেন।
উল্লেখ্য, চাঁদা না দেওয়ায় গত ৩ জুলাই শীতলক্ষ্যা নদী দিয়ে স্পীডবোট যোগে গিয়ে কারখানায় হামলা ও গুলির ঘটনা ঘটে। পরে এ ঘটনায় যুবদল নেতা মনির হোসেনকে আসামি করে মামলা হলে গ্রেফতার ও দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার হয় মনির হোসেন।