ঢাকা: সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মূল্য সূচকের ইতিবাচক ধারায় লেনদেন শেষ হয়েছে। এদিন লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে ৩১০টির দর বৃদ্ধি হয়েছে। অন্যদিকে টাকার অংকে লেনদেন গত কার্যদিবসের তুলনায় কিছুটা কমেছে। মূলত নতুন মার্জিন রুলসের নীতিমালাটি আদালতে স্থগিত হয়েছে- এমন খবর ছড়িয়ে পড়ায় পুঁজিবাজারে ক্রেতাদের ক্রয়াদেশ বেড়েছে। সে কারণে সূচকের এই উর্ধ্বগতি।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, আগের কার্যদিবসের ধারাবাহিকতায় বুধবার (১৯ নভেম্বর) সকালটা শুরু হয়েছিল সূচকের উর্ধ্বগতি দিয়ে। এরপর সারাদিন শেষে ডিএসই’র প্রধান সূচক ‘ডিএসইএক্স’ ৫৪ দশমিক ৪৯ পয়েন্ট বেড়েছে। বর্তমানে সূচকটি অবস্থান করছে ৪ হাজার ৯০১ পয়েন্টে। এছাড়া, ডিএসইর অপর সূচক ‘ডিএসইএস’ ১১ দশমিক৭৪ পয়েন্ট বেড়ে ১০২৯ পয়েন্ট এবং ‘ডিএস-৩০’ সূচক ৩ দশমিক ৬৬ পয়েন্ট বেড়ে ১৮৯৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
বুধবার ডিএসই-তে ৪২০ কোটি ৫৬ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। যার পরিমাণ আগেরদিন হয়েছিল ৪৭৫ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। এ হিসেবে লেনদেন কমেছে ৫৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা বা ১২ শতাংশ। মূলত সূচকের গতি ও শেয়ার দর অব্যাহত বাড়তে থাকায় বিক্রেতা কম ছিল। সেই কারণে লেনদেন কমেছে।
আজ ডিএসই-তে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দর বেড়েছে ৩১০টির বা ৮২.৪৫ শতাংশের। আর দর কমেছে ৩৬টির বা ৯.৫৭ শতাংশের ও দর পরিবর্তন হয়নি ৩০টির বা ৭.৯৮ শতাংশের।
অপরদিকে সিএসই-তে বুধবার ৯ কোটি ৪২ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এদিন সিএসই-তে লেনদেন হওয়া ১৬০টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে ১২৫টির, কমেছে ২৫টির এবং পরিবর্তন হয়নি ১০টির। এদিন সিএসই’র সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১১৫ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩৬৪১ পয়েন্টে।
আগের কার্যদিবসে সিএসই-তে ১১ কোটি ১৩ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছিল। আর সূচক সিএএসপিআই ১৫৮ পয়েন্ট বেড়েছিল।