Thursday 20 Nov 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সার্বভৌমত্বে কোনো হস্তক্ষেপ মেনে নেবে না বাংলাদেশ: দিল্লিতে খলিলুর

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট
২০ নভেম্বর ২০২৫ ১৭:৫০ | আপডেট: ২০ নভেম্বর ২০২৫ ১৯:০৩

জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান – ছবি : সংগৃহীত

ঢাকা: বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা (এনএসএ) খলিলুর রহমান বলেছেন, আঞ্চলিক নিরাপত্তার স্বার্থে উন্মুক্ত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সহযোগিতার জন্য বাংলাদেশ প্রস্তুত থাকলেও সার্বভৌমত্বের বিষয়ে কোনোরূপ হস্তক্ষেপ মেনে নেবে না।

বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত কলম্বো সিকিউরিটি কনক্লেভের (CSC) সপ্তম এনএসএ-স্তরের বৈঠকে এক লিখিত বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

দিল্লির বাংলাদেশ দূতাবাস সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

বৈঠকে খলিলুর রহমান বলেন, “বাংলাদেশ সবসময়ই বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদকে নিন্দা জানিয়ে এসেছে। আমরা সব ধরনের সন্ত্রাসবাদ; যে পরিস্থিতিতেই হোক—তার বিরুদ্ধে শূন্যসহনশীল নীতি অনুসরণ করি। ক্রমবর্ধমান ডিজিটালাইজেশন এবং প্রযুক্তিগত উন্নয়ন, বিশেষ করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে সাইবার অপরাধের হুমকি আমাদের সব দেশের জন্যই চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করছে। এ কারণে সাইবার নিরাপত্তা বাংলাদেশে অত্যন্ত অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত একটি ক্ষেত্র।”

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, “সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশকে ভুল তথ্য ও বিভ্রান্তিকর তথ্যের ধারাবাহিক প্রচারণার মুখে পড়তে হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে দেশের সাইবারস্পেস ও গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো সুরক্ষায় সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তবে এক্ষেত্রে জাতীয় পদক্ষেপ যথেষ্ট নয়”—মন্তব্য করে তিনি বলেন, “এ চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলায় আঞ্চলিক সহযোগিতা অপরিহার্য।”

তিনি বলেন, “পারস্পরিক বিশ্বাস, সম্মান, অভিন্ন স্বার্থ ও সুফল ভাগাভাগি ভিত্তিক সহযোগিতা ছাড়া টেকসই আঞ্চলিক নিরাপত্তা সম্ভব নয়।”

এ বিষয়টি সামনে রেখে আঞ্চলিক দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে নিরাপত্তা উপদেষ্টা বলেন, “আঞ্চলিক নিরাপত্তার জটিলতা মোকাবিলা করতে গিয়ে, আসুন আমরা পারস্পরিক বিশ্বাস ও সম্মান, অভিন্ন স্বার্থ এবং সুফল ভাগ করে নেওয়ার নীতির প্রতি আমাদের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করি।”

“ভারত মহাসাগর অঞ্চলে শান্তি, স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ অন্যান্য সদস্য রাষ্ট্রের সঙ্গে হাতে হাত রেখে কাজ করতে প্রস্তুত” বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা বলেন, “ভারত মহাসাগর অঞ্চলের স্থিতিশীলতা, নিরাপত্তা, শান্তি ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করতে এবং আমাদের সাধারণ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশ হাতে হাত রেখে কাজ করার প্রস্তুতি জানাতে পেরে আমি আনন্দিত। আমরা কোনো বহিরাগত বা অভ্যন্তরীণ শক্তিকে আমাদের কমিউনিটির নিরাপত্তা ও কল্যাণ—বা তার কোনো অংশ—চ্যালেঞ্জ জানাতে সুযোগ দিতে পারি না।”

খলিলুর রহমান বলেন, “অতএব, আমরা পারস্পরিক আস্থা ও উন্মুক্ততার ভিত্তিতে অভিন্ন সমস্যার সমাধানে অভিন্ন অবস্থান তৈরিতে প্রস্তুত রয়েছি।”

তিনি আশা প্রকাশ করেন, কলম্বো সিকিউরিটি কনক্লেভ ভবিষ্যতে একটি উন্মুক্ত, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও কার্যকর বহুপাক্ষিক আঞ্চলিক সংগঠন হিসেবে বিকশিত হবে—যা উন্মুক্ত আঞ্চলিকতার নীতিতে পরিচালিত হবে।

বক্তব্যের শুরুতে খলিলুর রহমান ভারতীয় জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালকে বৈঠক আয়োজন এবং বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের প্রতি উষ্ণ আতিথেয়তার জন্য কৃতজ্ঞতা জানান। তিনি সিএসসি মহাসচিবের উপস্থাপিত সংগঠনের কার্যক্রম-সংক্রান্ত প্রতিবেদনেরও প্রশংসা করেন।