ঢাকা: রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানাধীন ঢাকা উদ্যান এলাকা থেকে ছিনতাইকারী গডফাদার রক্তচোষা গ্রুপের মূলহোতা মো. জনি ওরফে রক্তচোষা জনিকে (৩২) গ্রেফতার করেছে র্যাব। জনি মানুষকে কুপিয়ে রক্তাক্ত করে এবং সেই রক্ত পান করে পৈশাচিক আনন্দ নিত বলে জানিয়েছে র্যাব।
শুক্রবার (২১ নভেম্বর) দুপুরে র্যাব-২ এর সদর দফতরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মো. খালিদুল হক হাওলাদার এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, মোহাম্মদপুর থানাধীন ঢাকা উদ্যান এলাকায় বায়তুল বিল্ডার্স লি. এর খালি প্লটের ভেতর থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে বহুল আলোচিত ছিনতাইকারী গডফাদার রক্তচোষা গ্রুপের মূলহোতা মো. জনি ওরফে রক্তচোষা জনিকে দেশীয় অস্ত্র সামুরাইসহ গ্রেফতার করেছে র্যাব-২। জনি মানুষকে কুপিয়ে রক্তাক্ত করে সেই রক্ত পান করত। এই পৈশাচিক আচরণের কারণেই তাকে স্থানীয়রা তাকে ‘রক্তচোষা জনি’ নামে চেনে।
র্যাব-২ এর অধিনায়ক বলেন, গ্রেফতার জনি এবং তার সহযোগিদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসায়ী ও ছিনতাইয়ের অভিযোগ রয়েছে। তার নেতৃত্বে ২৩ জনের একটি সক্রিয় বাহিনী মোহাম্মপুর, ঢাকা উদ্যান, নবোদয়, চন্দ্রিমা ও নবীনগর এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করছে। গত ৪ অক্টোবর জনির অনুসারীরা হাবিবুল্লাহ নামের এক চা দোকানিকে বিল চাওয়া কেন্দ্র করে নির্মমভাবে আক্রমন করে। ওই ঘটনার প্রেক্ষিতে র্যাব-২ অভিযান চালিয়ে দেশীয় অস্ত্র সামুরাইসহ রক্ত চোষা জনিকে গ্রেফতার করে।
খালিদুল হক হাওলাদার বলেন, ‘গ্রেফতার আসামি জিজ্ঞাসাবাদে জানায় যে, সে চাপাতি, সামুরাই, চাকু ও বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র প্রদর্শন করে ভয় ভীতি দেখিয়ে পথচারীদের থেকে নগদ টাকা-পয়সা, মোবাইল ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ জিনিসপত্র ছিনিয়ে নেওয়াসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করে আসছিল। তার বিরুদ্ধে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায় মাদক, অস্ত্র ও হত্যাচেষ্টা মামলাসহ ৫টি মামলা রয়েছে। জনিকে জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য যাচাই বাছাই করে ভবিষ্যতে র্যাব-২ এ ধরনের অভিযান অব্যাহত রাখবে। জনির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।