Sunday 23 Nov 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

অ্যাশেজ ২০২৫
২ দিনের পার্থ টেস্টে যত রেকর্ড

ফাহিম মাশরুর স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট
২৩ নভেম্বর ২০২৫ ১০:০২

অবিশ্বাস্য সেঞ্চুরিতে অজিদের জয় নিশ্চিত করেছেন হেড

প্রথম দিনে পড়েছিল রেকর্ড ১৯ উইকেট, দ্বিতীয় দিনে পড়ল ১৩ উইকেট। বোলারদের দাপটের ম্যাচে শেষ হাসিটা হাসলেন অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার ট্রাভিস হেডই। অবিশ্বাস্য এক সেঞ্চুরিতে মাত্র দুই দিনের মাথায় ইংল্যান্ডকে হারিয়ে পার্থ টেস্ট জিতে নিল অস্ট্রেলিয়া। এবারের অ্যাশেজের প্রথম টেস্টে হয়েছে বেশ কিছু অনন্য রেকর্ডও।

পার্থ টেস্ট শেষ হয়েছে মাত্র দুই দিনের মাথায়। ক্রিকেটের ইতিহাসে ২৬০৮টি ম্যাচের মধ্যে এই নিয়ে কেবল ২৬টির ফলাফল এলো দুই দিনেই। সব মিলিয়ে এই ২৬ টেস্টের ১১টিরই দেখা মিলেছে এই একবিংশ শতাব্দীতে। এর সাতটিই হয়েছে অ্যাশেজে। অ্যাশেজে এর আগে সবশেষ দুই দিনে ম্যাচ শেষ হয়েছিল ১০৪ বছর আগে ১৯২১ সালে নটিংহ্যামে।

বিজ্ঞাপন

পার্থে দুই দল মিলে বল করেছে ৮৪৭টি। ফল হওয়া টেস্ট ম্যাচের হিসেবে এটি নবম সর্বনিম্ন। অ্যাশেজের ইতিহাসে এটা তৃতীয় সর্বনিম্ন। এই তালিকার উপরে দুই স্থানে আছে ১৯৮৮ সালের ৭৮৮ ও ৭৯২ ডেলিভারির ম্যাচ দুটি।

ম্যাচ জয়ী ইনিংসের পথে সেঞ্চুরি ছুঁতে ৬৯ বল লেগেছে ট্রাভিস হেডের। অ্যাশেজের ইতিহাসে এটি দ্বিতীয় দ্রুততম সেঞ্চুরি এবং সব মিলিয়ে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে যৌথভাবে তৃতীয় দ্রুততম। ২০১২ সালে ওয়াকায় ভারতের বিপক্ষে সমান ৬৯ বলে সেঞ্চুরি ছুঁয়েছিলেন ডেভিড ওয়ার্নার।

এই সংস্করণে চতুর্থ ইনিংসে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড নতুন করে গড়েছেন হেড, ভেঙে দিয়েছেন ১৯০২ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ইংলিশ ক্রিকেটার গিলবার্ট জেসপের গড়া ৭৬ বলে সেঞ্চুরির আগের রেকর্ড।

২০৫ রান তাড়া করতে গিয়ে হেড একাই করেছেন ১২৩, যা পুরো ইনিংসের ৬০ শতাংশ। টেস্টের ইতিহাসে এখন পর্যন্ত ২০০ এর বেশি সফল রান তাড়ায় ঘটনায় হেডের অবদান শতকরা হিসেবে তৃতীয় সর্বোচ্চ; তার ওপরে আছেন কেবল গর্ডন গ্রিনিজ (৬২.৫৭%) ও মোহাম্মদ ইলিয়াস (৬২.৩৭%)।

অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে এটি দ্বিতীয় সর্বনিম্ন দৈর্ঘ্যের টেস্ট ম্যাচ। এই তালিকায় ওপরে আছে ১৯৩২ সালে মেলবোর্নে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তাদের ম্যাচ, ৬৫৬ বলেই ফল হয়েছিল সেই ম্যাচের।

পার্থ টেস্টে দুই ইনিংস মিলিয়ে ১০৩ রানে ১০ উইকেট নিয়েছেন অজি পেসার মিচেল স্টার্ক। এর আগে অস্ট্রেলিয়ান কোনো পেসার অ্যাশেজে সবশেষ ম্যাচে ১০ উইকেট নিয়েছিলেন ১৯৯১ সালে, ওয়াকায় ক্রেইগ ম্যাকডারমট ১৫৭ রানে শিকার করেছিলেন ১১ উইকেট।

পার্থের এই ম্যাচের প্রথম তিন ইনিংসেই রানের খাতা খোলার আগেই ভেঙেছে ওপেনিং জুটি। এই প্রথম কোনো টেস্টের প্রথম তিন ইনিংসে স্কোরবোর্ডে কোনো রান ওঠার আগেই ভেঙে যায় উদ্বোধনী জুটি।

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার এটা শততম জয়। আর কোনো দল কোনো এক দলের বিপক্ষে কোনো দেশে এর চেয়ে বেশি ম্যাচ জিততে পারেনি। এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানেও অস্ট্রেলিয়া। তারা ইংল্যান্ডের মাটিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৫৭টি ম্যাচ জিতেছে।

বিজ্ঞাপন

আরো

ফাহিম মাশরুর - আরো পড়ুন
সম্পর্কিত খবর