সিলেট: দুদক চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন বলেছেন, ‘পুণ্যভূমি সিলেটে কেন দুদক অফিস করতে হবে? যদি আমরা সবাই পূণ্যবান হতাম এবং ধর্মীয় বিধি-বিধান মেনে চলতাম, নিজেরা দুর্নীতি করতাম না, তবে এমন অফিসেরও প্রয়োজন হতো না।’
তিনি বলেন, সীমাবদ্ধতার মধ্যেও দেশের দুর্নীতি প্রতিরোধে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
তিনি রোববার (২৩ নভেম্বর) সকালে সিলেটের আলমপুরে দুদকের সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের নতুন অফিস ভবন নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের বলেন, ‘জনসচেতনতা বৃদ্ধি, সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত দফতর-সংস্থায় সেবার মান উন্নয়ন, সেবাগ্রহীতাদের হয়রানি রোধ এবং দুর্নীতি প্রতিরোধে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে দুদক। তবে জনবলের ঘাটতি এবং দক্ষ জনশক্তির অভাব কাজকে প্রভাবিত করছে। অপরাধের ধরণ পরিবর্তিত হওয়ায় কাজও জটিল হয়ে উঠেছে।’
নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি জনগণকে সরাসরি বার্তা দেন। তিনি বলেন, ‘কে কোন দল করেন তা নয়—ঘুষ খান না, চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত নন—এমন সৎ মানুষকে ভোট দিতে হবে। সত্যিকার সৎ লোক নির্বাচন কমিশনে সম্পদ বিবরণী স্বচ্ছভাবে দাখিল করবেন। নমিনেশন বাণিজ্য ও দুর্নীতিগ্রস্ত প্রার্থীদের নির্বাচনে প্রবেশ প্রতিরোধে সবাইকে সোচ্চার হতে হবে।’
চেয়ারম্যান মোমেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্বাচনি হলফনামার উদাহরণ টেনে বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে যেন এমন দুর্নীতি আর না ঘটে। এজন্য জনগণকে সচেতন হতে হবে এবং গণমাধ্যমকেও সহযোগিতা করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘দুদক শুধুমাত্র অনুসন্ধানী সংস্থা নয়। আমরা জনগণকে সচেতন করার মাধ্যমে দেশকে দুর্নীতিমুক্ত করতে চাই। জনগণ, মিডিয়া এবং সামাজিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করতে হবে। সততা, দায়বদ্ধতা এবং স্বচ্ছতার সংস্কৃতি গড়ে তোলা না হলে কেবল আইনগত পদক্ষেপই যথেষ্ট হবে না।’
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দুর্নীতি দমন কমিশনের কমিশনার (তদন্ত) মিঞা মুহাম্মদ আলি আকবার আজিজীসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।