চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলায় ঘরের পাশে মাটিতে পুঁতে রাখা অবস্থায় ষাটোর্ধ্ব এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, আঘাতজনিত কারণে তার মৃত্যু হয়েছে। খুন করে মরদেহ মাটির নিচে রাখা হয়েছিল বলে ধারণা পুলিশের।
রোববার (২৩ নভেম্বর) সকালে উপজেলার কালীপুর ইউনিয়নের পূর্ব টেমাপাড়া গ্রামে পুলিশের উপস্থিতিতে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহত মো. আশরাফ মিয়া (৬৫) পেশায় কৃষক ছিলেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।
বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইফুল ইসলাম সারাবাংলাকে বলেন, ‘আশরাফ মিয়াদের ঘরের পাশে একটি ছোট বাগানের মতো আছে। সেই বাগানে মাটির নিচে তার মরদেহটি ছিল। তবে দুই পায়ের পাতা দেখা যাচ্ছিল। খবর পেয়ে আমরা গিয়েছিলাম। আমাদের উপস্থিতিতে মাটি সরিয়ে মরদেহটি তোলা হয়েছে।’
‘উনার পরিবারের পক্ষে ছেলে আমাদের প্রথমে বিষয়টি জানান। তখন আমরা গিয়ে মরদেহটি পাই। পরিবারের বক্তব্য হচ্ছে- আশরাফ মিয়া তিনদিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন। কিন্তু তারা নিখোঁজের বিষয়ে কোনো তথ্য পুলিশকে জানায়নি। এজন্য আমরা নিখোঁজের বিষয়টি আমলে নিচ্ছি না। বরং নিখোঁজসংক্রান্ত এ তথ্য আমাদের কাছে সন্দেহজনক মনে হচ্ছে।’
নিহতের শরীরে আঘাতের চিহ্ন আছে জানিয়ে ওসি বলেন, ‘মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন আছে। আঘাতজনিত কারণে তার মৃত্যু হয়েছে বলে আমরা মোটামুটি নিশ্চিত হয়েছি। তবে সেটা পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড কি না সেটা আমরা নিশ্চিত নই। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে সেটা পরিষ্কার হবে। তার কীভাবে মৃত্যু হলো, কে বা কারা মরদেহ ঘরের পাশে মাটির নিচে রাখল, সবকিছু আমরা খতিয়ে দেখছি।’