Sunday 23 Nov 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

প্রধান শিক্ষকের বেডরুমের সন্ধান মিলল ক্লাসরুমে

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
২৩ নভেম্বর ২০২৫ ১৯:৪৩

প্রধান শিক্ষকের বেডরুম। ছবি: সারাবাংলা

নীলফামারী: ছাত্রীদের অশ্লীল বার্তা পাঠানোর অভিযোগে নীলফামারীর ডোমার সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সমালোচিত প্রধান শিক্ষক মো. দুররুল আনাম সিদ্দিকীর বেডরুমের সন্ধান মিলেছে স্কুলের এক ক্লাসরুমে। এ ঘটনায় অভিভাবক ও এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

বিদ্যালয়ে ওই শ্রেণিকক্ষে গিয়ে দেখা যায়, শিক্ষার্থীদের বসার বেঞ্চ দিয়ে বানানো হয়েছে খাট। খাটে চাদর ও বালিশ বিছানো আছে। টেবিলে রাখা খাবার ও পানীয় পাত্র। পাশেই দাড়িতে ঝুলে আছে কাপড় এবং জানালায় ঝোলানো হয়েছে পর্দা। বিদ্যালয়ের ভেতরে এমন চিত্র দেখে স্থানীয়দের মধ্যে বিস্ময় ও গুঞ্জনের সৃষ্টি হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী জানায়, ‘স্যার, বিদ্যালয়ে আসার পর থেকেই শ্রেণীকক্ষে থাকছেন। অফিস শেষে তিনি এখানেই বিশ্রাম নেন এবং রাত কাটান।’

মনোয়ার হোসেন নামে একজন অভিভাবক বলেন, ‘এটা সরকারি স্কুল, এখানে ব্যক্তিগতভাবে থাকার বিষয়টি অনুচিত। প্রশাসনের এ ব্যাপারে নজর দেওয়া উচিত।’

শ্রেণীকক্ষে থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শিক্ষক আব্দুর রশিদ ও শিক্ষিকা রোকসানা আক্তার। তারা বলেন, ‘প্রধান শিক্ষক ওই শ্রেণীকক্ষে থাকেন। শ্রেণীকক্ষের থাকার নিয়ম আছে কি না, সে বিষয়ে আমাদের জানা নেই। ওই রুম তার জন্য বরাদ্দ কিনা আমরা তা-ও জানিনা।’

অভিযোগের বিষয়ে বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক মো. দুররুল আনাম সিদ্দিকী জানান, ‘আমি সেখানে থাকাতে স্কুলের ক্লাস বা কাজের কোনো ব্যাঘাত ঘটেনি।’

উর্ধতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি বা অবগত করার বিষয়ে প্রশ্ন এড়িয়ে গিয়ে বলেন, ‘আমি আর কিছু বলতে পারবো না।’

জেলা কর্মকর্তা মো. হাফিজুর রহমান প্রধান শিক্ষকের সব বিষয়ে অবগত। তবে এ ব্যাপারে তিনি কোনো মন্তব্য করতে চাননি।

এবিষয়ে ডোমার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সায়লা সাঈদ তন্বী বলেন, ‘উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।’

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা রংপুর অঞ্চলের উপ-পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোছা. রোকসানা বেগম বলেন, ‘ক্লাসরুমে থাকার কোনো নিয়ম নেই। এই বিষয়ে আমি অবগত ছিলাম না। যত দ্রুত সম্ভব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

উল্লেখ্য, এর আগে গত ১ নভেম্বর সারাবাংলা ডট নেট-এ ‘প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের অশ্লীল মেসেজ পাঠানোর অভিযোগ’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হলে এটি এলাকায় ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি করে। ওই ঘটনার পর থেকেই প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ে অনিয়মিত এবং শেষ পর্যন্ত শ্রেণিকক্ষেই বসবাসের এই তথ্য সামনে আসে।