Sunday 23 Nov 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সুনামগঞ্জে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ঢুকে ব্রাদারকে মারধরের অভিযোগ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
২৩ নভেম্বর ২০২৫ ২০:০৯

মারধরের ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ। ছবি: সংগৃহীত

সুনামগঞ্জ: সুনামগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ঢুকে একজন ব্রাদারকে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। রোববার (২৩ নভেম্বর) দুপুর ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার প্রতিবাদে হাসপাতালে কর্মরত নার্স ও ব্রাদাররা দুই ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করেন।

জরুরি বিভাগের সিনিয়র স্টাফ ব্রাদার জাহাঙ্গীর আলম জানান, তিনি বেলা তিনটার দিকে জরুরি বিভাগের একটি টেবিলে একজন রোগীর ড্রেসিং করছিলেন। তখন সাব্বির আহমদ নামের এক যুবক বাইরে থেকে আরেকজন রোগী নিয়ে টেবিল খালি করতে বলেন। জাহাঙ্গীর কাজ করছেন জানালে সাব্বির দ্রুত কাজ শেষ করে তাকে টেবিল দিতে বলে সেখান থেকে চলে যান। মিনিট পাঁচেক পরে সাব্বির আবার এসে তাকে কাজ করতে দেখে ক্ষুব্ধ হয়ে গালিগালাজ শুরু করেন। জাহাঙ্গীর প্রতিবাদ করলে তাকে ঝাপটে ধরে কিল-ঘুষি ও লাথি মারেন সাব্বির। পরে অন্য সহকর্মীরা এসে তাকে উদ্ধার করেন।

বিজ্ঞাপন

জরুরি বিভাগের কর্মীরা জানান, সাব্বির হাসপাতাল পার্শ্ববর্তী হাছননগর এলাকার বাসিন্দা। তিনিসহ আরও কয়েকজন যুবক এখানে দালালি করেন। বাইরে থেকে রোগী নিয়ে এসে তারা নিজেরাই কখনো ড্রেসিং বা প্রাথমিক চিকিৎসা করিয়ে টাকা নেন। এদের কাছে জরুরি বিভাগের কর্মীরা জিম্মি হয়ে আছে। কোনো কিছু বললেই বাইরে গেলে দেখে নেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। গত সোমবারও হাসপাতালের প্যাথলজি বিভাগে একজন ওয়ার্ডবয়কে মারধর করা হয়েছে। হাসপাতালের কর্মীর এ ঘটনার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেন।

রোববার দুপুরের ঘটনার প্রতিবাদে হাসপাতালের নার্সরা কর্মবিরতি শুরু করলে বিকেল পাঁচটার দিকে হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম তাদের সঙ্গে আলোচনা ও অনুরোধ করে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করান।

মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনার পর আমরা বিষয়টি পুলিশকে জানিয়েছি। হাসপাতালের পক্ষ থেকে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এসব অন্যায় মেনে নেওয়া যায় না।’

প্রসঙ্গত, গত সোমবার হাসপাতালের এক্সরে কক্ষে সিরিয়াল ভেঙে আগে এক্সরে করে না দেওয়ায় একই এলাকার বাসিন্দা আপ্তাব উদ্দিনের ছেলে ফরহাদ (৩৩) ও শিমুল (২৮) সেখানে এক ওয়ার্ডবয়কে বেধড়ক মারধর করেন। এ ঘটনায় পরে ওয়ার্ডবয় পিয়াল হোসেন বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

সারাবাংলা/জিজি
বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর