নীলফামারী: উপজেলা প্রাইমারি এডুকেশন ট্রেনিং সেন্টার (ইউপিইটিসি)-এ দায়িত্ব পালনে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে নীলফামারীর ডোমার অফিসের ডাটা এন্ট্রি অপারেটর আরেফা বেগম চৌধুরীর বিরুদ্ধে।
অভিযোগ রয়েছে, ডাটা এন্ট্রি অপারেটর প্রতিদিন অফিসে এসে কম্পিউটার চালু রেখে হাজিরা খাতায় সই করলেও অধিকাংশ সময়েই কর্মকর্তাদের না জানিয়ে ব্যক্তিগত কাজ করতে বাইরে চলে যান। এতে প্রতিষ্ঠানের দৈনন্দিন কাজ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে বলে জানা গেছে।
সোমবার (২৪ নভেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে তার অফিসে গেলে তাকে অনুপস্থিত পাওয়া যায়। ওই অফিসের অন্যান্য কর্মচারীরা জানান, হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করে কয়েক মিনিট পরেই অফিসের কাজে বাইরে রয়েছেন। এমনটি তিনি নিয়মিতভাবেই করেন বলে জানান কর্মচারীরা।
আরফা বেগমের অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে উপজেলা ইন্সট্রাক্টর অর্চনা রানী মন্ডল জানান, ‘ইতিপূর্বেও তার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে। অফিসের কাজে তার সঙ্গে আমার মাসে ২-১বারও অনেক সময় দেখা হয় না। কখন আসেন কখন যান তা জানিনা তবে, অফিসে এসেই কম্পিউটার চালু করে বাইরে চলে যান এমন অভিযোগও তার বিরুদ্ধে রয়েছে।‘
উপজেলা প্রাইমারি এডুকেশন ট্রেনিং সেন্টার সংলগ্ন শহীদ স্মৃতি মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক অভিযোগ করে বলেন, ‘ঠিকমতো অফিস করেনা আরফা চৌধুরী। প্রতিদিন সকালে অফিসে এসে হাজিরা খাতায় সই করে বেরিয়ে যান। অফিস সময়ে তিনি অফিস না করে কারো অনুমতি না নিয়ে ব্যক্তিগত কাজে ব্যস্ত থাকেন।’
অভিযোগের বিষয়ে ডাটা এন্ট্রি অফিসার আরেফা বেগম চৌধুরী জানান, ‘বাচ্চাদের স্কুল ছুটির সময় অফিস থেকে বাইরে বের হই তবে সেটা আমার কর্মকর্তা জানেন। আমি নিয়মিত অফিস করি।’