Monday 24 Nov 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সরাসরি বিদেশি ক্রেতা ছাড়াই মধ্যস্থাকারীর কাছে পণ্য রফতানির অনুমতি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
২৪ নভেম্বর ২০২৫ ২১:১৭

ঢাকা: দেশের রফতানি চ্যানেল বিস্তারের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক বিজনেস-টু-বিজনেস-টু-কনজিউমার (বি২ বি২ সি) মডেলের আওতায় সরাসরি বৈদেশি ক্রেতা (বায়ার্স) ছাড়াই তৃতীয় পক্ষের কাছে পণ্য রফতানির অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। নতুন নিয়মে বাংলাদেশ থেকে যেকোন পণ্য সরাসরি বিদেশী ক্রেতার বাহিরে মধ্যস্থকারী (বিদেশী কনসাইনি) হিসেবে কাজ করে এমন আন্তর্জাতিক অনলাইন প্ল্যাটফর্ম (যেমন-আমাজন), মার্কেটপ্লেস ও সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠানের ওয়ারহাউজের ঠিকানায় রফতানি করা যাবে।

সোমবার(২৪ ন‌ভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংক একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

নির্দেশনায় বলা হয়, দেশের রপ্তানির বাজার বৃদ্ধির লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক বিজনেস-টু-বিজনেস-টু-কনজিউমার (বি২ বি২ সি) কাঠামোর অধীনে রপ্তানিকারকদের বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ও মার্কেটপ্লেসের মাধ্যমে পণ্য বিক্রির সুযোগ তৈরিতে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। সেজন্য অনুমোদিত ডিলার (এডি) ব্যাংকগুলো বাংলাদেশ থেকে মার্কেটপ্লেস, সাবসিডিয়ারি অথবা তৃতীয় পক্ষের ওয়ারহাউজগুলোতে পণ্য রফতানি কার্যক্রম পরিচালনা করতে ব্যাংকিং উদ্যোগ নেবে। সেক্ষেত্রে রফতানি সম্পন্ন করতে রফতানিকারকদের বৈশ্বিকভাবে স্বীকৃত অনলাইন প্ল্যাটফর্ম বা ওয়ারহাউজে তাদের নিবন্ধনের প্রামাণ্য দলিল সংশ্লিষ্ট এডি ব্যাংকের নিকট দাখিল করতে হবে। যেহেতু বি২ বি২সি কাঠামোতে সাধারণত প্রচলিত বিক্রয় চুক্তি থাকে না, সেক্ষেত্রে রপ্তানিকারকরা বিশেষ (প্রফর্মা) ইনভয়েসের ভিত্তিতে রপ্তানি পণের ন্যায্য মূল্য ঘোষণা করতে পারবে। ওয়ার হাউজিং বা অন্যান্য সেবা প্রদানকারী কনসাইনির নামে প্রস্তুতকৃত শিপিং ডকুমেন্টও এডি ব্যাংক গ্রহণ করতে পারবে।

বিজ্ঞাপন

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, রফতানি আয়ের ক্ষেত্রে এডি ব্যাংক স্বাভাবিক ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে কিংবা আন্তর্জাতিক পেমেন্ট সার্ভিস অপারেটরের মাধ্যমে প্রাপ্ত অর্থও গ্রহণ করবে। যেহেতু প্ল্যাটফর্মভিত্তিক রফতানির অর্থপ্রাপ্তি ভিন্ন ভিন্ন চালানের বিপরীতে একত্রে আসতে পারে সেজন্য এডি ব্যাংকগুলো ফার্স্ট-ইন, ফার্স্ট-আউট নীতিতে রপ্তানি আয় সমন্বয় করতে পারবে। তবে আগের বিল বা চালানগুলো আগে সমন্বয় করতে হবে।

খাত সংশ্লিষ্টরা জানান, নতুন সিদ্ধান্তের ফলে আন্ত: সীমান্ত ই-কমার্স পরিচালনা সহজ করবে। বৈশ্বিক অনলাইন মার্কেটপ্লেসে বাংলাদেশের অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করবে এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি রপ্তানিকারকদের জন্য বাজার নতুন নতুন সুযোগ উন্মুক্ত করবে। নতুন কাঠামোটি ডিজিটাল খুচরা বিক্রির আন্তর্জাতিক চ্যানেলে বাংলাদেশি পণ্যের অংশগ্রহণ আরও কার্যকরভাবে নিশ্চিত করে বহুমুখী রফতানি বাড়াতে সহায়তা করবে।

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর