ঢাকা: রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় নারীসহ ৩ জনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এরা হলেন- ভাটারা থেকে উদ্ধার হওয়া ব্যবসায়ী ও লাকসাম থানার সাবেক ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আল-আমিন হোসেন রায়হান (৩২), সবুজবাগ থেকে উদ্ধার হওয়া গৃহিণী সিমি আক্তার (২০) ও গাড়ি চালক ইপু (২৫)। প্রাথমিকভাবে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, তিনজনই ‘আত্মহত্যা’ করেছেন বলে মনে করছে পুলিশ।
সোমবার দিবাগত মধ্যরাত থেকে মঙ্গলবার ভোর পর্যন্ত পৃথক জায়গা থেকে ৩টি মরদেহ উদ্ধার করে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ। এরপর ময়নাতদন্তের জন্য লাশগুলো ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়।
ভাটারা থেকে উদ্ধার হওয়া আল-আমিনের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার নাগরীপাড়া গ্রামে। বাবার নাম মো. তাজুল ইসলাম। বর্তমানে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার ই ব্লকের ১৮ নম্বর রোডে একটি বাড়ির ছাদে চিলেকোঠায় থাকতেন। তিনি লাকসাম থানা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন
ভাটারা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সৈয়দ আসাদুজ্জামান বলেন, বসুন্ধরার ওই বাসার চিলেকোঠার রুমটিতে একাই থাকতেন আল-আমিন। সোমবার রাতে রুমের দরজা বন্ধ দেখে বাড়িটির দারোয়ান বিকল্প চাবি দিয়ে রুম খুলে ভিতরে ঢুকে দেখেন, জানালার গ্রিলের সাথে রশি দিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে সে। পরবর্তীতে থানায় খবর দিলে রাত পৌনে ১টার দিকে মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়।
এসআই আরও জানান, মৃত আল আমিন লাকসাম থানার সাবেক ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। দুটি বিয়ে করেছিলেন। তার রুম থেকে একটি চিরকুট উদ্ধার করা হয়েছে। এতে লেখা রয়েছে- “আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়”।
এদিকে, সবুজবাগের আহমদবাগ এলাকার ৩৩/ডি নম্বর বাড়িটির ৩য় তলায় থাকেন গৃহিণী সিমি আক্তার। তার সুরতহাল প্রতিবেদনে সবুজবাগ থানার উপপরিদর্শক মো. আরিফুর রহমান উল্লেখ করেন, তার স্বামীর নাম মুরাদ হোসেন। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্যের কারণে ফ্যানের সাথে ওড়না পেচিয়ে গলায় ফাঁস দেন তিনি। খবর পেয়ে রাত ১টার দিকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
অপরদিকে, সবুজবাগের দক্ষিণগাঁও এলাকার ৬ নম্বর রোডের আবু সাইদের টিনশেড বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয় গাড়ি চালক ইপুর লাশ। তার সুরতহাল প্রতিবেদনে সবুজবাগ থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) মো. জাহাঙ্গীর আলম উল্লেখ করেন, মঙ্গলবার ভোর ৪টার দিকে খবর পেয়ে দক্ষিণগাঁওয়ের বাসা থেকে ইপুর মরদেটি উদ্ধার করা হয়। তার গ্রামের বাড়ি গাইবান্ধার সদর উপজেলায়। তার বাবার নাম মো. রবিউল ইসলাম। দক্ষিণগাঁওয়ের বাড়িটিতে স্ত্রীকে নিয়ে থাকতেন তিনি। সোমবার রাতে সিগারেট খাওয়াকে কেন্দ্র করে স্ত্রী কুলসুমের সাথে ঝগড়া হয় তার। এক পর্যায়ে স্ত্রীকে মারধর করে বাসা থেকে বের করে দেন তিনি। এরপর নিজেই রুমের দরজা বন্ধ করে ফ্যানের সাথে শীতের চাদর পেচিয়ে গলায় ফাঁসি দেন।