Thursday 27 Nov 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ইসলামকে রাষ্ট্র পরিচালনায় নেওয়ার সুযোগ এসেছে: মুফতি রেজাউল

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
২৭ নভেম্বর ২০২৫ ১৫:৫১ | আপডেট: ২৭ নভেম্বর ২০২৫ ১৬:৪৫

চরমোনাই অগ্রহায়ণের মাহফিল।

ঢাকা: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম, বলেছেন, আমি কোথাও নির্বাচনে প্রার্থী হই নাই, ফলে মন্ত্রী হওয়ারও সুযোগ নাই। তারপরেও আমার এবং আমাদের সকল প্রচেষ্টার লক্ষ দেশকে একটি ভালো অবস্থায় নেওয়া। জীবন উৎসর্গকারী জনতার রক্তকে সার্থক করার জন্যই আমাদের প্রচেষ্টা। ৫৪ বছর পরে একটি সুযোগ এসেছে। এই সুযোগ কাজে লাগাতে না পারলে আগামী প্রজন্ম আমাদের ধিক্কার দেবে।

বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) চরমোনাই অগ্রহায়ণের মাহফিলের ২য় দিন অনুষ্ঠিত উলামা-মাশায়েখ ও দ্বীনদার বুদ্ধিজীবী সমাবেশে পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, আগে যারা দেশ শাসনের সুযোগ পেয়ে দেশকে দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন করেছে তারা আবারও ক্ষমতায় আসার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। বাংলাদেশের মানুষ নতুন শাড়িতে পুরোনো বউ দেখতে চায় না। ফলে আগামীর নির্বাচনে পরিবর্তন আসতেই হবে।

বিজ্ঞাপন

সম্মেলনে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ধর্মবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আফম খালেদ হোসাইন বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বলেন, চরমোনাই পীর সাহেবের আন্তরিক প্রচেষ্টা এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ঐকান্তিক চেষ্টায় উপদেষ্টা পরিষদের দায়িত্ব পালনের সুযোগ হয়েছে। আমার বিষয়ে আপনাদের প্রত্যাশা অনেক বেশি; কিন্তু আমার সীমাবদ্ধতা আছে। সেই সীমাবদ্ধতা মেনেই আমার কাজ করতে হয়।

ধর্মের ব্যাখ্যার জন্য উলামাদের কথাই শেষ কথা। বাংলাদেশে কেউ ইসলাম অবমাননা করলে তাদেরকে দ্রুততার সাথে আইনের আওতায় নেয়া হবে। আপনারা কেউ দয়া করে আইন হাতে নিবেন না। আমি আশ্বস্ত করতে পারি, বাংলাদেশে কেউ কোনো ভাবেই ধর্মের অবমাননা করতে পারবে না।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ ইউনূস আহমদ বলেন, আল্লাহ বলেছেন, তোমরা কখনো জালেমের দিকে ঝুকে যেও না। আগামী নির্বাচনে কোনো প্রলোভন বা ভয়ের কারণে কোনো জালেমকে সুযোগ করে দেয়া যাবে না।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্মমহাসচিব ও দলীয় মুখপাত্র মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানকে যারা অস্বীকার করেছে সরকার তাদের অতিমাত্রায় গুরুত্ব দিয়েছে। সরকারের ভুলনীতির কারণে নির্বাচনের লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা যায়নি। অস্ত্র উদ্ধার হয়নি। এমন বাস্তবতায় আগামী নির্বাচন নিয়ে আমরা শংকিত। আগামীতে পূর্বের ন্যায় কোনো নির্বাচন হলে দেশে আবারো বিপ্লব হবে, অভ্যুত্থান হবে।

গাজী আতাউর রহমান বলেন, সিইসি বলছেন একই সাথে গণভোট করা চ্যালেঞ্জিং। এই কথাটাই আমরা বারংবার বলে আসছি। আমাদের কথাকে অবমূল্যায়ন করে আপনারা একই দিনে গণভোট ও জাতীয় নির্বাচন একত্রে আয়োজন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

ইসলামী আন্দোলনের মুখপাত্র বলেন, বিএনপির পক্ষ থেকে জুলাই সনদে সই করার পরেও না ভোটের পক্ষে ক্যাম্পেইন করা হচ্ছে। যদি না জয়যুক্ত হয় তবে পুরোনো বন্দোবস্তের রাজনীতি আবারও ফিরে আসবে। গত জুলাইয়ে এতো রক্ত, জীবন উৎসর্গের পরে দেশকে কোনোভাবেই পুরোনো বন্দোবস্তে ফিরে যেতে দিতে পারি না।

সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন, প্রেসিডিয়াম সদস্য মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমদ, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, অধ্যক্ষ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, মাওলানা ইমতেয়াজ আলম, সহকারী মহাসচিব মাওলানা আহমদ আব্দুল কাইয়ুম, কেএম আতিকুর রহমানসহ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।

সম্মেলনে জাতীয় উলামা-মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের নতুন সভাপতি হিসেবে দেশের শীর্ষ আলেম মুফতি মিজানুর রহমান সাঈদের নাম ঘোষণা করা হয়।

সারাবাংলা/এমএমএইচ/এনজে
বিজ্ঞাপন

ফের ভূমিকম্পে কাঁপলো ঢাকা
২৭ নভেম্বর ২০২৫ ১৬:৩৮

আরো

সম্পর্কিত খবর