ইরাকের কুর্দিস্তান অঞ্চলের অন্যতম বৃহৎ গ্যাসক্ষেত্র ‘খোর মোর’-এ রকেট হামলার পর উৎপাদন সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গেছে এবং এর ফলে অঞ্চজুড়ে ব্যাপক বিদ্যুৎ বিপর্যয় দেখা দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) যৌথ অপারেটর দানা গ্যাস জানায়, বুধবার (২৬ নভেম্বর) রাতে গ্যাসক্ষেত্রের একটি স্টোরেজ ট্যাঙ্কে রকেট আঘাত হানে। হামলায় কোনো হতাহত না হলেও গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হয়ে পড়ে।
ঘটনার দায় কেউ সঙ্গে সঙ্গে স্বীকার করেনি এবং হামলার পেছনে কে ছিল তা কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করতে পারেনি। গ্যাসক্ষেত্রটি কুর্দিস্তানের বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সরবরাহকারী হলেও তেল উৎপাদন বা রফতানিতে কোনো প্রভাব পড়েনি। জুলাই মাসে ধারাবাহিক ড্রোন হামলার পর এটিই সবচেয়ে বড় আক্রমণ। সে সময় তেল উৎপাদন দৈনিক প্রায় ১ দশমিক ৫ লাখ ব্যারেল কমে গিয়েছিল।
হামলার পর সামাজিক মাধ্যম এক্স-এ পোস্ট করে কুর্দিস্তান আঞ্চলিক সরকারের (কেআরজি) প্রধানমন্ত্রীর ডেপুটি চিফ অব স্টাফ আজিজ আহমদ বলেন, ‘আর কত হামলার পর যুক্তরাষ্ট্র সরকার কেডিআরজিকে আকাশসীমা ও গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো রক্ষার জন্য অ্যান্টি ড্রোন ব্যবস্থা কেনার অনুমতি দেবে?’
দানা গ্যাস জানায়, হামলাটি খোর মোর স্থাপনার তরল সংরক্ষণ ট্যাঙ্কে আঘাত করে। শিল্প-সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এই নতুন স্থাপনা যুক্তরাষ্ট্রের অর্থায়ন ও মার্কিন ঠিকাদারের মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছিল এবং এটি KM250 প্রকল্পের অংশ, যা গ্যাসক্ষেত্রের উৎপাদন ক্ষমতা ৫০ শতাংশ বাড়িয়েছে।
কুর্দিস্তানের বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওমেদ আহমদ বলেন, গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হওয়ায় অঞ্চলে তিন হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন কমে যাবে বলে অনুমান করা হচ্ছে।