বাছাইপর্বের বাধা পেরিয়ে ২০২৬ বিশ্বকাপের মূল পর্বে পৌঁছে গেছে পর্তুগাল। তবে পর্তুগালের বিশ্বকাপ টিকিট পাওয়ার সঙ্গে যোগ হয়েছিল নতুন এক শঙ্কাও। বাছাইপর্বের ম্যাচে লাল কার্ড দেখে ও প্রতিপক্ষের ফুটবলারকে কনুই দিয়ে আঘাত করে ২০২৬ বিশ্বকাপের শুরুর ভাগে নিষিদ্ধ হওয়ার দ্বারপ্রান্তে ছিলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। তবে শেষ মুহূর্তে গিয়ে নিষেধাজ্ঞা থেকে রক্ষা পেলেন পর্তুগিজ অধিনায়ক। কিন্তু কীভাবে নিষেধাজ্ঞা থেকে বেঁচে গেলেন তিনি?
১৪ নভেম্বর বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে আয়ারল্যান্ডের দারা ও’শেয়ারকে কনুই মেরে লাল কার্ড দেখেন রোনালদো। পর্তুগালের জার্সিতে ২২৬তম ম্যাচে এটা তার প্রথম লাল কার্ড। নিয়মানুযায়ী লাল কার্ড দেখলে এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা অবধারিত। সে হিসাবে বাছাইপর্বে পর্তুগালের পরের ম্যাচে আর্মেনিয়ার বিপক্ষে খেলতে পারেননি রোনালদো।
প্রতিপক্ষকে এভাবে আঘাত করলে ১ থেকে ৩ ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা পান ফুটবলাররা। ২০২৬ বিশ্বকাপের আগে পর্তুগালের আর কোন ম্যাচ না থাকায় সরাসরি বিশ্বকাপেই নেমে আসতো সেই নিষেধাজ্ঞা।
রোনালদোকে শেষ পর্যন্ত ২ ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ করেছে ফিফা। তবে এখানে রয়ে গেছে ফাঁক। ফিফার শৃঙ্খলা কমিটি বলছে, এই নিষেধাজ্ঞা আগামী ১ বছর স্থগিত থাকবে। এর মধ্যে আবারও একই আচরণ করলেই কেবল নিষিদ্ধ হবেন রোনালদো।
ফিফা কি রোনালদোকে বাঁচাতেই এমনটা করল? শৃঙ্খলাবিধির ২৭ নম্বর অনুচ্ছেদেই অবশ্য বলা আছে, ফিফা কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থাকে এক থেকে চার বছরের পর্যবেক্ষণকালীন সময়ের জন্য সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে স্থগিত’ করতে পারে। ২৫ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ফিফা বিচারিক সংস্থা আরোপিত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা কমাতে পারে, এমনকি বাতিলও করতে পারে। ফিফা তাই কার্যত নিয়মের মধ্যে থেকেই রোনালদোকে বাঁচিয়ে দিল।
রোনালদোর এমন বেঁচে যাওয়া অবশ্য ভালো চোখে দেখছে না অনেক দেশই। মেইল অনলাইন জানিয়েছে, ফিফার রোনালদোর শাস্তি কমানোর সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধচারণ করে আদালতে যেতে পারে কিছু দেশ। সেটা আন্তর্জাতিক ক্রীড়া আদালত কোর্ট অব আরবিট্রেশন ফর স্পোর্টসে (সিএএস)। বিশ্বকাপের ড্রয়ে যেসব দেশকে পর্তুগালের মুখোমুখি হতে হবে, তারা যেতে পারে এই আদালতে।
শেষ পর্যন্ত রোনালদোর ভাগ্যে কী অপেক্ষা করছে, সেটা জানা যাবে আগামী বছরের শুরুতেই।