যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে হোয়াইট হাউজের কাছে গুলিবিদ্ধ দুই ন্যাশনাল গার্ড সদস্যের একজন মারা গেছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ তথ্য জানিয়েছেন।
ট্রাম্প বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বলেন, আঘাতের কারণে ২০ বছর বয়সী সারাহ বেকস্ট্রম মারা গেছেন। ন্যাশনাল গার্ডের আহত আরেক সদস্য ২৪ বছর বয়সী অ্যান্ড্রু উলফের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
গত বুধবার হোয়াইট হাউসের কাছে ফারাগুট স্কয়ারে স্থানীয় সময় বেলা সোয়া দুইটার দিকে খুব কাছ থেকে ওই দুই ন্যাশনাল গার্ড সদস্যকে গুলি করা হয়। হামলায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ একজনকে গ্রেফতার করেছে। তার নাম রহমানুল্লাহ লাকানওয়াল (২৯)। তিনি ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্রে যান।
থ্যাঙ্কসগিভিং উপলক্ষে মার্কিন সামরিক সদস্যদের সঙ্গে ফোনে কথা বলার সময় ট্রাম্প সারাহ বেকস্ট্রমের মৃত্যুর কথা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ‘গুলিবিদ্ধ দুই ন্যাশনাল গার্ডের একজন সারাহ বেকস্ট্রম আর আমাদের মধ্যে নেই। তিনি ছিলেন অত্যন্ত সম্মানিত ও অসাধারণ মানুষ।’
হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা সিবিসি নিউজকে জানান, পরে ট্রাম্প সারাহর বাবা-মায়ের সঙ্গে কথা বলেন।
সারাহ বেকস্ট্রম ২০২৩ সালের ২৬ জুন ন্যাশনাল গার্ডে যোগ দেন। তাকে ওয়েস্ট ভার্জিনিয়া আর্মি ন্যাশনাল গার্ডের ৮৬৩তম মিলিটারি পুলিশ কোম্পানিতে নিযুক্ত করা হয়।
ওয়েস্ট ভার্জিনিয়ার রিপাবলিকান সিনেটর জিম জাস্টিস বলেন, সারাহ বেকস্ট্রমের মৃত্যুর খবরে তিনি ‘পুরোপুরি ভেঙে পড়েছেন’।
ঘটনার দিন সেভেনটিনথ ও আই স্ট্রিট মোড়ে টহল দিচ্ছিলেন সারাহ বেকস্ট্রম এবং তার সহকর্মী অ্যান্ড্রু উলফ। আল-জাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, পুলিশ বলেছে, বৃহস্পতিবার বেলা সোয়া দুইটার দিকে সন্দেহভাজন এক হামলাকারী এক ন্যাশনাল গার্ডকে লক্ষ্য করে সরাসরি গুলি ছোড়েন।
সিএনএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সন্দেহভাজন ব্যক্তি ন্যাশনাল গার্ডের তিন সদস্যের কাছে এগিয়ে যান। তিনি গুলি ছোড়া শুরু করার আগপর্যন্ত খুব সম্ভবত রক্ষীরা তাকে খেয়ালই করেননি। হামলাকারী প্রথমে এক ন্যাশনাল গার্ডকে গুলি করেন, তারপর আরেকজনকে।
পরে সংঘর্ষের সময় সন্দেহভাজন হামলাকারীও গুলিবিদ্ধ হন। তাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তিনি পুলিশ হেফাজতে আছেন।