ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর দুর্নীতির মামলায় পূর্ণাঙ্গ ক্ষমার আবেদনকে কেন্দ্র করে তেল আবিবে প্রেসিডেন্ট ইসহাক হার্জগের বাড়ির সামনে হাজারো মানুষের বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার (১ ডিসেম্বর) রাতে অনুষ্ঠিত এ বিক্ষোভে প্রতিবাদকারীরা হার্জগকে আহ্বান জানান যাতে তিনি নেতানিয়াহুর ক্ষমার আবেদন প্রত্যাখ্যান করেন।
নেতানিয়াহু একইদিন তার দীর্ঘদিনের দুর্নীতির বিচার প্রক্রিয়া থেকে মুক্তির জন্য কোনো দোষ স্বীকার না করেই প্রেসিডেন্টের কাছে ক্ষমা চান। ‘পারডন=বানানা রিপাবলিক’ স্লোগানে অনুষ্ঠিত এ বিক্ষোভে বিরোধী দলের এমপি নাআমা লাজিমি ও বহু নাগরিক অংশ নেন।
আন্দোলনকারীরা বলেন, ‘নেতানিয়াহু তার বিচার সম্পূর্ণ বাতিল করতে চান কোনো দায় স্বীকার ছাড়াই। তিনি এই দেশকে যেভাবে বিভক্ত করেছেন, তার দায় তাকে নিতেই হবে।’
ইসরায়েলের সর্বাধিককালীন দায়িত্ব পালনকারী এই প্রধানমন্ত্রী পাঁচ বছর ধরে তিনটি মামলায় বিচারাধীন। যার মধ্যে ঘুষ, জালিয়াতি এবং আস্থাভঙ্গের অভিযোগ রয়েছে। একটি মামলায় তিনি এবং তার স্ত্রী সারা নেতানিয়াহু ধনী ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ২ লাখ ৬০ হাজার ডলারের বিলাসপণ্য নেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত।
তার বিরুদ্ধে দুটি সংবাদমাধ্যমকে রাজনৈতিক সুবিধা দিতে অনুকূল কভারেজের চেষ্টা চালানোর অভিযোগও রয়েছে। যদিও নেতানিয়াহু এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন।
প্রেসিডেন্ট হার্জগের কার্যালয় নিশ্চিত করেছে যে তারা নেতানিয়াহুর আবেদন পেয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এটি একটি অসাধারণ অনুরোধ, যার ব্যাপক প্রভাব রয়েছে। সব মতামত পর্যালোচনা করার পর প্রেসিডেন্ট দায়িত্বশীলভাবে সিদ্ধান্ত নেবেন।’
নেতানিয়াহু আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)-তেও অভিযুক্ত। গাজায় চলমান গণহত্যার দায়ে আইসিসি ২০২৪ সালে তার ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে।
ইসরায়েলের গাজা হামলায় এরই মধ্যে ৭০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১ লাখ ৭১ হাজার আহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।