ঢাকা: ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফারুক আহমেদ বলেছেন, বিয়ারিং প্যাডের দুর্ঘটনার পর মেট্রোরেলের গড়ে ১০ শতাংশ যাত্রী কমেছে। এ ছাড়া ভূমিকম্পে মেট্রোরেলের কোনো ফিজিক্যাল ক্ষতি বা ডিসপ্লেসমেন্ট (ভৌত সরণ বা স্থানচ্যুতি) হয়নি।
সোমবার (১ ডিসেম্বর) রাজধানীর উত্তরায় দিয়াবাড়ি মেট্রোরেল ভবনের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি।
ডিএমটিসিএল ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, আগে দৈনিক গড়ে চার লাখ ৬০ হাজার যাত্রী যাতায়াত করতেন। এ সংখ্যা এখন চার লাখের আশেপাশে রয়েছে। আমরা বারবারই বলেছি যাত্রীদের নিরাপত্তাই আমাদের কাছে প্রধান। কোনো ইনসিডেন্ট ঘটলে সবার আগে পাবলিককে ডিসকানেক্ট করব আমরা। ভূমিকম্পের পরে ৪ থেকে ৫ ঘণ্টা পুরো মেট্রোরেলের সব স্ট্রাকচার আমরা ফিজিক্যালি চেক করেছি। সেখানে আমিও ছিলাম। ওইদিন আমরা দুটি ট্রেন দুইদিক থেকে চালিয়েছি। এ ছাড়া ফার্মগেট ও বিজয় সরণি এলাকায় বিয়ারিং প্যাডগুলো আমরা ফিজিক্যালি চেক করেছি। এটার জন্য আমাদের ট্রেন চালাতে ২৭ মিনিট দেরি হয়।

সংবাদ সম্মেলনে ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফারুক আহমেদ।
ভূমিকম্পে মেট্রোরেল ভেঙে পড়েছে এমন কিছু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখা যাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ভূমিকম্পের পরে আমরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেক কিছু দেখেছি। মেট্রোরেল ভেঙে পড়েছে সেটাও দেখেছি। এটা যে এআই দিয়ে তৈরি সেটা নির্ধারণ করতে আমাদের একটু সময় লাগবে। তবে আমরা পুরোটা চেক করে যেটা দেখেছি কোনো ফিজিক্যাল ডিসপ্লেসমেন্ট হয়নি। একটা দেয়ালে একটু ক্র্যাক হয়েছে, দুইটা টাইলস পড়েছে, সিলিং থেকে দুইটা সিলিং প্যাড খুলেছে। আমার বাসার দেয়ালও তো ফেটেছে। এখন এই দেয়াল কেন ফেটেছে সেটা তো বলতে পারব না।
মেট্রোরেলের দুই কোচের মাঝখান দিয়ে এক কিশোর ছাদে উঠে যাওয়ার বিষয়ে ফারুক আহমেদ বলেন, একটা ছেলে ছাদে উঠে গেছে এটা জানার পর পরই আমাদের সিকিউরিটি সঙ্গে সঙ্গে তাকে নামিয়ে ফেলে। ওই কিশোর কারওয়ান বাজার থেকে আগারগাঁও যায়, সেখান থেকে সে দুই ট্রেনের মধ্যখানে বসে সেখান থেকে সচিবালয় যায়। ওখানেই তাকে নামিয়ে ফেলা হয়। সে সময় পুরো ট্রেন সার্ভিস বন্ধ করা হয় এবং প্রতিটি ট্রেকে সার্চ করেছি। আজ সকালে সুফার ট্রেন দিয়ে চেক করি কেউ আছে কিনা। আমাদের কাছে সেফটি ফাস্ট।