ঢাকা: বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেছেন, বাংলাদেশের আজকের এই প্রেক্ষাপটে আগামী রাজনীতি এবং নির্বাচনের জন্য বৃহৎ রাজনৈতিক দলগুলোর ভেতরে আরও অনেক বেশি সমঝোতা বোঝাপড়া এবং নীতিগত ঐক্য প্রয়োজন। আমি দেশবাসী এবং রাজনৈতিক দল সকলের প্রতি আহ্বান জানাবো আমরা আগামীতে আরও অনেক ধৈর্যের সঙ্গে, প্রজ্ঞার সঙ্গে দেশকে প্রাধান্য দিয়ে যেন আমাদের কর্তব্য নির্ধারণ করি।
সোমবার (১ ডিসেম্বর) রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে তিনি এসব কথা বলেন। অনেক দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর সুস্থ হয়ে তিনি বাসায় ফিরছিলেন।
ডা. তাহের বলেন, ‘আমি আজকে অত্যন্ত বেদনা, উদ্বেগ, উৎকণ্ঠার সঙ্গে বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতার জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করি। আমি ব্যক্তিগতভাবে এই স্বাক্ষী দিতে পারি যে বেগম জিয়া একান্তভাবে একজন দেশপ্রেমিক স্ত্রী ছিলেন, গণতান্ত্রিক নেত্রী ছিলেন, উনার আপসহীন রাজনীতির কারণেই বিগত ১৫ বছর যেভাবে দেশটা ভারতীয় দখলে গিয়েছিল তার অনেক আগে যেতে পারতো। উনার দৃঢ়তার কারণে সেটা সম্ভব হয়নি। আজকে উনি কোনো দলের নেত্রী নন। উনি সমগ্র মানুষের নেত্রী। উনার প্রতি আমাদের আবেগ ভালবাসা আছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে গভীর শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। আরোগ্য কামনা করছি। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে অনেক প্রোগ্রাম দিয়েছি। আবারও জামায়াতের পক্ষ থেকে আল্লাহর কাছে সুস্থতা কামনা করছি।’
নিজের শারীরিক অবস্থার বিষয়ে জামায়াতের এই নেতা বলেন, ‘আল্লাহর রহমতে অনেকটা সুস্থ অবস্থায় বাসায় যাওয়ার জন্য বের হয়েছি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে আমার চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছে। আপনারা জানেন বিশ্ববিখ্যাত কার্ডিওলজিস্ট মোমিনুজ্জামান সাহেব চিকিৎসা করেছেন। আমার ব্লকটা ছিল পাথরের মতো শক্ত। এটা স্টেনটিং করা অনেক কঠিন ছিল। উনারা তাৎক্ষণিক মেডিকেল বোর্ড করেছিলেন। ব্লকটি স্টেনটিং (রিং পড়ানো) করা হয়েছে। আমি এখন আলহামদুলিল্লাহ সুস্থ আছি।’
এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন ঢাকা-১৭ আসনে জামায়াত মনোনীত প্রার্থী ডা. এস এম খালিদুজ্জামান।