চাঁপাইনবাবগঞ্জ: কারাগার থেকে জামিনে মুক্তির দুই ঘণ্টা পর ফের ভারতীয় ছয় নাগরিককে আটক করেছ পুলিশ।
সোমবার (১ ডিসেম্বর) রাত পোনে ১০ টার দিকে পুলিশের একটি দল চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার নয়াগোলা এলাকা থেকে তাদের আটক করে। চাঁপাইনবাবগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এনএম ওয়াসিম ফিরোজ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে সোমবার বিকালে তাদের জামিন দেন আদালত। দাফতরিক প্রক্রিয়া শেষে রাত পৌনে ৮ টার দিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা কারাগার থেকে মুক্তি পান তারা। চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকায়র নয়াগোলার বাসিন্দা ফারুক হোসেন জিম্মায় জামিন দেন আদালত।
ফারুক হোসেন জানান, কারাগার থেকে মুক্তির পর গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন ভারতীয় নাগরিকরা। এর পর ফারুকের বাড়িতে গিয়ে রাতের খাবর খান। তার পর পুলিশের একটি দল তাদের নিয়ে আসে। ফারুক হোসেন বলেন, ‘তাদের কেন নিয়ে যাওয়া হচ্ছে? পুলিশের কাছে জানতে চেয়েও সদুত্তোর পাইনি।’
চাঁপাইনবাবগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এনএম ওয়াসিম ফিরোজ জানান, ভারতের ছয় নাগরিককে আটক করা হয়েছে। তাদের আদালতে সোপার্দ করা হবে। এর পর আবার জামিন নিতে হবে।
এর আগে এদিন বিকেলে পুলিশের করা মামলার আসামি চারজনকে জামিন দেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (তৃতীয় আদালত) মো. আশরাফুল ইসলাম। এরা হলেন- পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বীরভূম জেলার পাকুরের দানিশ শেখ (২৮), তার স্ত্রী সোনালি বিবি (২৬), সুইটি বিবি (৩৩) ও তার দুই সন্তান, মো. কুরবান দেওয়ান (১৬)। এছাড়া, সুইটি বিবির আরেক সন্তান মো. ইমাম দেওয়ান (৬) ও সোনালী বিবির সন্তান সাব্বির শেখ (৮) কারাগারে বন্দি থাকলেও মামলা আসামি ছিলেন না।
আসািমপক্ষের আইনজীবী একরামুল হক পিন্টু বলেন, ‘অন্তঃসত্ত্বা সোনালী খাতুন যেকোনো সময় বাচ্চা প্রসব করতে পারেন। এই বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে তিনিসহ বাকি আরও তিনজনকে জামিন দেওয়া হয়। চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার নয়াগোলা গ্রামের ফারুক হোসেন তার জিম্মাদার হয়েছেন। তিনি সোনালী বিবির আত্মীয় হোন।’ তিনি আরও বলেন, ‘আগামী ৩ ডিসেম্বর ওই মামলার শুনানির দিন রয়েছে। ওইদিন তাদের আদালতে হাজির হতে বলা হয়েছিল।’
জানা গেছে, গত ২০ আগস্ট চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের আলীনগর থেকে ওই ছয় ভারতীয়কে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের কুড়িগ্রামের একটি সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে পুশইন করে বিএসএফ। পরে তাদের বিরুদ্ধে সীমান্তে অনুপ্রবেশ আইনে মামলা দায়েরের পর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। তবে ওই ছয়জনের মধ্যে দু’জন কোলের শিশু হওয়ায় মামলায় তাদের আসামি করা হয়নি।