ঢাকা: পাঁচ ব্যাংক একীভূত করে নব গঠিত সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক-এর অনুকূলে ২০ হাজার কোটি টাকা মূলধন ছাড় করেছে সরকার।
সোমবার (০১ ডিসেম্বর) ব্যাংকটির তহবিলে এ অর্থ জমা হয়েছে বলে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে। একইদিন বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংকটিকে তফসিলি ব্যাংক হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে।
অর্থ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট থেকে এ অর্থ দেওয়া হয়েছে। চলতি বাজেটে ইক্যুইটি বা মূলধন খাতে ২৪ হাজার ১৯৬ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছিল। সেখান থেকেই এ অর্থ দেওয়া হয়েছে।
সূত্র মতে, ব্যাংকটি লাভের অবস্থায় ফিরলে সে মুনাফা সরকার পাবে। সরকারের পরিকল্পনা—ব্যাংকটি স্থিতিশীল হয়ে গেলে তিন বছর পর ধাপে ধাপে ২০ হাজার কোটি টাকার সরকারি শেয়ার বেসরকারি খাতে ছেড়ে দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, ইতোমধ্যে সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক পিএলসি রেজিস্ট্রার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানিজ অ্যান্ড ফার্মসে নিবন্ধিত হয়েছে। ব্যাংকের পরিশোধিত মূলধন নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৫ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারের অংশ ২০ হাজার কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, মূলধনের পরিমাণ বিবেচনায় এটি দেশের সর্ববৃহৎ রাষ্ট্রায়ত্ত শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংক হিসেবে যাত্রা শুরু করেছে। ‘আমানত সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৫’ অনুযায়ী ২ লাখ টাকা পর্যন্ত আমানত সম্পূর্ণ নিরাপদ, যা একীভূতকরণ শেষে দ্রুত পরিশোধ করা হবে। আর ২ লাখ টাকার বেশি আমানতের নিষ্পত্তির বিষয়ে বিশদ পরিকল্পনা শিগগির ঘোষণা করা হবে। নতুন ব্যাংকটি বাংলাদেশ ব্যাংকের নিবিড় তত্ত্বাবধানে সর্বোচ্চ দক্ষতা ও পেশাদারত্বের সঙ্গে পরিচালিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। অল্প সময়ের মধ্যেই এটি একটি গতিশীল, আধুনিক ও প্রতিযোগিতামূলক শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকের রূপ নেবে বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক আশাবাদী।