মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ প্রতিনিধি স্টিফ উইটকফ ইউক্রেন ইস্যুতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে আলোচনার জন্য প্রস্তুত।
মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) বিবিসির প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে হোয়াইট হাউজের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) মস্কোতে মার্কিন বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফের সঙ্গে দেখা করবেন। তারা ইউক্রেন যুদ্ধের অবসানের জন্য একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর বিষয়ে খুব আশাবাদী।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জামাতা জ্যারেড কুশনার আলোচনায় যোগ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে। তিনি কূটনৈতিক আলোচনায় বহিরাগত উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করেছেন।
ফ্লোরিডায় উইটকফ এবং কুশনারসহ ইউক্রেনীয় এবং মার্কিন কর্মকর্তাদের মধ্যে দুই দিনের আলোচনার পর এই শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। যার লক্ষ্য ছিল মার্কিন-সমর্থিত শান্তি পরিকল্পনাকে সংশোধন করা। কারণ এই পরিকল্পনাকে রাশিয়ার পক্ষে অনুকূল বলে বিবেচনা করা হয়েছিল।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি আলোচনাকে গঠনমূলক বলে আখ্যায়িত করেছেন। তবে তিনি বলেছেন, এখানে এমন কিছু বিষয় রয়েছে যার এখনো সমাধান করা বাকি।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, মঙ্গলবার দুপুরে পুতিনের সঙ্গে উইটকফের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে নিশ্চিত করেছে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ।
সোমবার প্যারিসে ফরাসি রাষ্ট্রপতি ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সঙ্গে বৈঠকের পর জেলেনস্কি বলেন, ‘শান্তি আলোচনায় কিয়েভের অগ্রাধিকার হলো ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব বজায় রাখা এবং শক্তিশালী নিরাপত্তা নিশ্চয়তা দেওয়া।’
জেলেনস্কি বলেন, ‘শান্তি চুক্তির গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো আঞ্চলিক সমস্যা। ক্রেমলিন ইউক্রেনকে তাদের পূর্বাঞ্চল ছেড়ে দেওয়ার জন্য চাপ অব্যাহত রেখেছে যা এখনো ইউক্রেনের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, যা কিয়েভ দীর্ঘদিন ধরে ধরে রেখেছে যে এটি কখনো করবে না।’
উইটকফ যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ের স্টারমার, জেলেনস্কি এবং ইউক্রেনের নতুন প্রধান আলোচক রুস্তেম উমেরভের সঙ্গেও আলোচনা করেছে।
সোমবার হোয়াইট হাউজের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লিভিট বলেন, ‘খসড়া শান্তি চুক্তিটি অনেক সংশোধন করা হয়েছে। আমি মনে করি প্রশাসন খুব আশাবাদী।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিস্তারিত জানার জন্য আমি আলোচকদের আলোচনার সুযোগ দেব। তবে আমরা বেশ ভালো বোধ করছি এবং আমরা আশাবাদী যে এই যুদ্ধ অবশেষে শেষ হতে পারে।’
গত সপ্তাহে পুতিন জানিয়েছিলেন, তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত একটি খসড়া শান্তি পরিকল্পনা দেখেছেন এবং এটি যুদ্ধের অবসানের জন্য ভবিষ্যতের চুক্তির ভিত্তি হয়ে উঠতে পারে।
যদিও ক্রেমলিনের কর্মকর্তারা সন্দেহ প্রকাশ করেছেন যে কিয়েভ এবং ইউরোপীয় মিত্ররা আদৌ প্রস্তাবটি গ্রহণ করবে কিনা।