Tuesday 02 Dec 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সিলেটে আবারও বিতর্কিত ওসি আহাদ, পদায়ন ঠেকাতে প্রতিবাদের ঝড়

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ০০:৫১

বিতর্কিত ওসি আব্দুল আহাদ। ছবি: সারাবাংলা

সিলেট: লটারির মাধ্যমে সিলেট জেলার সব থানার ওসি পদে রদবদল করা হয়েছে। সেই তালিকায় আছে গোয়াইনঘাটের নাম। আর এখানে বিতর্কিত ওসি আব্দুল আহাদ এবারও দায়িত্বে ফিরছেন—যিনি প্রশংসা এবং সমালোচনার সঙ্গে পরিচিত। কিন্তু গোয়াইনঘাটবাসীর প্রতিক্রিয়া এবার তীব্র।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলছে প্রতিবাদ, পোস্টে পোস্টে প্রশ্ন উঠছে: ‘গোয়াইনঘাটে কি আবার তার আগের কাহিনী ফিরে আসবে?’ গোয়াইনঘাট যেন একবারে আবার আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে এসেছে।

ওসি আব্দুল আহাদকে সাধারণভাবে গোয়াইনঘাট থানার সাবেক ওসি হিসেবে চেনা যায়। ২০১৯ সালে তিনি গোয়াইনঘাট থানার দায়িত্বে থাকা অবস্থায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বিশেষ অবদানের জন্য শ্রেষ্ঠ ওসি হিসেবে সম্মাননা পান। তার নেতৃত্বে থানা এলাকায় অপরাধ দমন কার্যক্রমে উল্লেখযোগ্য সাফল্য এসেছে। কিন্তু মুদ্রার ঠিক বিপরীত দিক ও রয়েছে তার ক্যারিয়ারে। কেননা তার কর্মজীবন সম্পূর্ণ মধুর নয়।

বিজ্ঞাপন

২০২১ সালে দুর্নীতি দমন আইনে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়, যা তাকে বিতর্কিত চরিত্র হিসেবে পরিচিত করেছে। রয়েছে মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসানোরও অভিযোগ।

আজকের পদায়নের খবর ছড়িয়ে পড়তেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র প্রতিক্রিয়া শুরু হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা রুবেল আহমদ লিখেছেন, “আগের লাইন আবার চালু হবে… ডেবিলরা শান্তিতে থাকবে।”

গোয়াইনঘাট রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি সাদিকুর রহমান মন্তব্য করেছেন, ‘বিতর্কিত ওসি আব্দুল আহাদ আবার গোয়াইনঘাটে। জনমনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে।’

অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। পোস্ট ও স্ট্যাটাসগুলোতে বলা হচ্ছে, ‘গোয়াইনঘাটবাসী তাকে চাইছে না’ এবং থানা পুনরায় সুস্থ ও শান্তিপূর্ণ রাখতে তাকে আটকানোর আহ্বান জানানো হচ্ছে। জনমত তীব্র এবং বিতর্কের মধ্যে রয়েছে।

একদিকে তার দক্ষতা, অভিজ্ঞতা এবং অপরাধ দমন ক্ষমতাকে স্বাগত জানানো হচ্ছে, অন্যদিকে পূর্বের অভিযোগ ও বিতর্ক স্মরণ করিয়ে দেওয়া হচ্ছে। গোয়াইনঘাট যেন তার জন্য এক বিশেষ ‘মধুর থানা’—যেখানে বারবার ফিরে আসার ঘটনা স্থানীয়দের মধ্যে নতুন আশঙ্কা ও প্রত্যাশা একসঙ্গে তৈরি করেছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ওসি আহাদের পুনঃপদায়ন শুধুমাত্র প্রশাসনিক নয়, এটি স্থানীয় সমাজ এবং পুলিশের সম্পর্কের ওপরও প্রভাব ফেলতে পারে। স্থানীয় ব্যবসায়ী, শিক্ষক ও সাধারণ মানুষ আশঙ্কা করছেন, থানা আগের মতো স্থিতিশীল এবং নিরাপদ থাকবে কি না।

ওসি আহাদ আবারও গোয়াইনঘাটে দায়িত্ব নিলে কি থানা স্থিতিশীল ও নিরাপদ থাকবে, নাকি বিতর্ক আরও তীব্র হবে? গোয়াইনঘাটবাসী এবং জেলার অন্যান্য নাগরিকদের জন্য এই পদায়ন নতুন আলোচনার সূত্রপাত করেছে। সময়ই বলে দেবে, এই ‘মধুর থানা’ কি তার নেতৃত্বে নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে, নাকি বিতর্কের বলি হয়ে পদায়ন আটকাবে।

সারাবাংলা/জিজি
বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর