ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিরাপত্তা জোরদার করতে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে বিজিবি, র্যাব ও এপিবিএন যুক্ত করা হয়েছে।
বুধবার (৩ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার পর থেকে এই সংস্থাগুলো ভিভিআইপি নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন শুরু করেছে।
এর আগে, মঙ্গলবার দুপুর ২টা ২০ মিনিট থেকে হাসপাতালে উপস্থিত হয়ে বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী (এসএসএফ) তার নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিল।
অন্তর্বর্তী সরকার খালেদা জিয়াকে ‘অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি’ (ভিভিআইপি) ঘোষণা করেছে। বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী আইন, ২০২১ অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীসহ সরকার ঘোষিত ভিভিআইপিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এসএসএফের দায়িত্ব। প্রয়োজনে তারা ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিকে গ্রেফতার বা গুলির ক্ষমতাও প্রয়োগ করতে পারে।
সাম্প্রতিক সময়ে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা আরও উন্নত করতে যুক্তরাজ্য থেকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দল এভারকেয়ার হাসপাতালে পৌঁছেছে। তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. আল মামুন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। বিশেষজ্ঞ দলের নেতৃত্বে রয়েছেন ডা. রিচার্ড বিলি। মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শে চলমান চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা মূল্যায়ন ও উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিত করতে যুক্তরাজ্য ও চীন থেকে দুটি বিশেষজ্ঞ দলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
২৩ নভেম্বর রাতে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য গুলশানের বাসা ফিরোজা থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে আনা হয় খালেদা জিয়াকে। দীর্ঘদিন ধরে তিনি আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস ও চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন। বর্তমানে তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে।
হাসপাতাল ঘিরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। মূল ফটকের দুই পাশে ব্যারিকেড বসানো হয়েছে এবং পুলিশের উপস্থিতিও বৃদ্ধি করা হয়েছে। হাসপাতালের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ছাড়া অন্য কাউকে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না।
গত ২৩ নভেম্বর রাতে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য গুলশানের বাসা ফিরোজা থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে আনা হয় খালেদা জিয়াকে। পরে মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শে তাকে ভর্তি করা হয়। এরপর তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। দীর্ঘদিন ধরে তিনি আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন।