Wednesday 03 Dec 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সীমান্তে বাংলাদেশি হত্যার বিরুদ্ধে কূটনৈতিক ও আইনি পদক্ষেপ নিতে হবে: ডাকসু

ঢাবি করেসপন্ডেন্ট
৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৫:৩১ | আপডেট: ৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৫:৪২

প্রতীকী ছবি।

ঢাবি: মধ্যরাতে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় গত রোববার (৩০ নভেম্বর) ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) কর্তৃক দুই বাংলাদেশি যুবক ইব্রাহিম রিংকু (২৮) ও মমিন মিয়াকে (২৯) নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করে হাত-পা বেঁধে পদ্মা নদীতে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) সীমান্তে অব্যাহত বাংলাদেশি নাগরিক হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গভীর নিন্দা ও তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে।

বুধবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুরে ডাকসুর সাধারণ সম্পাদক এস এম ফরহাদের সই করা এক বিবৃতির মাধ্যমে এ নিন্দা জ্ঞাপন করেন তারা।

বিবৃতিতে বলা হয়, স্বাধীনতার পর থেকে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) অব্যাহতভাবে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে বাংলাদেশি নাগরিকদের সীমান্তে গুলি করে হত্যা করছে। কিশোরী ফেলানীর কাঁটাতারে ঝুলে থাকা লাশ কিংবা স্বর্ণা দাসকে নির্মমভাবে হত্যার ঘটনা সারা বিশ্বের বিবেক নাড়া দিলেও বিএসএফ-এর মনোভাব বদলায়নি। ভারত বারবার সীমান্তে হত্যাকাণ্ড ‘শূন্যে নামিয়ে আনার’ প্রতিশ্রুতি দিলেও বাস্তবে তার উলটো চিত্রই দেখা গেছে।

বিজ্ঞাপন

মানবাধিকার সংস্থা ও গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, ২০০৯ থেকে ২০২৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বিএসএফ-এর গুলিতে ও নির্যাতনে প্রায় ৬৫৩ জন বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন সহস্রাধিক। আজ পর্যন্ত এসব হত্যাকাণ্ডের কোনো তদন্ত বা বিচার হয়নি।

এতে আরও বলা হয়, চলতি বছরেই ভারত থেকে প্রায় দুই হাজার মানুষকে অবৈধভাবে পুশ-ইন করে বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে রোহিঙ্গা ও ভারতীয় নাগরিকও রয়েছে। সীমান্ত এলাকায় বিস্ফোরণ, ড্রোন ওড়ানো এবং গুলিবর্ষণের মতো ঘটনাও ঘটেছে। ভারত থেকে অবৈধ পুশ-ইন ও বাংলাদেশি নাগরিক হত্যাকাণ্ডের বিচার না হওয়া দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্বের ক্ষেত্রে গভীর উদ্বেগ সৃষ্টি করছে। জুলাই বিপ্লব পরবর্তী সময়েও বর্ডার ভায়োলেন্স নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের কঠোর অবস্থান না থাকায় সীমান্ত হত্যাকাণ্ড একটি নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনায় রূপ নিয়েছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এখনো পর্যন্ত সীমান্ত হত্যা বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছে। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বিএসএফ কর্তৃক সংঘটিত প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের জন্য হত্যাকারী বিএসএফ-এর বিরুদ্ধে অবশ্যই কূটনৈতিক ও আইনি পদক্ষেপ নিতে হবে। সীমান্ত হত্যার মতো গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাকে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে উত্থাপন করে বিচার নিশ্চিত করতেও জরুরি পদক্ষেপ নিতে হবে।

সারাবাংলা/কেকে/এনজে
বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর