রংপুর: রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের কর্মবিরতির ফলে রেডিওলজি বিভাগসহ এক্স-রে, এমআরআই, রক্ত পরীক্ষা এবং ওষুধ বিতরণ সম্পূর্ণ বন্ধ। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সেবা নিতে আসা রোগীরা।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা থেকে অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করেন যা এখনও অব্যাহত রয়েছে।
ঘটনার সূত্রপাত হয়, গত ৩০ নভেম্বর (রোববার) সকাল ৯টা থেকে দুই ঘণ্টার কর্মবিরতির মধ্য দিয়ে। আন্দোলনকারীদের প্রধান দাবি হলো ১০ম গ্রেড বাস্তবায়ন, যা গত তিন দশক ধরে তারা উত্থাপন করে আসছেন কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এই কর্মবিরতির ফলে হাসপাতালের সকল স্বাস্থ্য পরীক্ষা কার্যক্রম স্থগিত হয়ে পড়ে, যা রোগীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে।
রোগীরা জানান, দূর-দূরান্ত থেকে এসে তারা সেবা বঞ্চিত হয়েছেন এবং চিকিত্সা প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়েছে।
আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে, আজ (৩ ডিসেম্বর) বিকেলের মধ্যে দাবি মেনে নেওয়া না হলে দেশের সব মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে সম্পূর্ণ শাটডাউন করা হবে। এদিকে সরকারের পক্ষ থেকে এখনও কোনো সুনির্দিষ্ট প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি, যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে।
এই কর্মবিরতি শুধু রংপুরে সীমাবদ্ধ নয়, সারাদেশের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে একইভাবে পালিত হয়েছে। এতে করে দেশব্যাপী স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থায় সাময়িক অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে।
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা হাসপাতালের প্রধান ফটকে অবস্থান নিয়ে তাদের দাবি তুলে ধরেন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, এই ধরনের আন্দোলন অতীতেও হয়েছে কিন্তু এবারেরটি আরও জোরালো। স্থানীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা জানান, বিষয়টি পর্যালোচনাধীন রয়েছে কিন্তু কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমা দেওয়া হয়নি।
তবে এ বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।