ঢাকা: জাল ভিসায় ইতালিতে পাঠানোর নামে অনেকে কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে প্রতারক চক্রের সক্রিয় সদস্য মাহবুবুর রহমান (৩০) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
বুধবার (৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর খিলক্ষেত থেকে তাকে গ্রেফতার করে সিআইডি।
জানা যায়, ছেলের জন্য উন্নত জীবনের স্বপ্ন দেখা বাবা বিল্লাল মিয়া আট লাখ টাকা খরচ করে চলতি বছরের ২২ এপ্রিল ইতালির উদ্দেশে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভেতরে সাইফুলকে পাঠিয়ে দেন। কিন্তু পরক্ষণেই বাবা ও ছেলের সেই স্বপ্ন ভেঙ্গে যায়। কারণ, ইতালি যাওয়ার ভিসাটি জাল বলে সাইফুলকে জানায় বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা।
ভুক্তভোগীর অভিযোগ অনুযায়ী, ইতালিতে যাওয়ার জন্য মোট খরচ ২০ লাখ টাকা নির্ধারণ করা হয়। সে প্রেক্ষিতে গত ৬ মার্চ তারা নগদ ৫ লাখ টাকা এবং ২ হাজার ১০০ ইউরো দেন। এ সময় অবশিষ্ট টাকা সাইফুল ইতালি পৌঁছানোর পর দিলেই হবে বলে জানানো হয়।
ভিসা জালিয়াতির এই ঘটনায় বিল্লাল মিয়া বাদী হয়ে পল্টন গত ২ জুলাই মামলা দায়ের করেন।
এ বিষয়ে সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান বলেন, ‘ফরিদপুরের বাসিন্দা মো. সাইফুল মিয়াকে (২১) ইতালিতে পাঠানোর প্রলোভন দেখিয়ে চক্রটি তার বাবা মো. বিল্লাল মিয়াকে (৬৩) প্রতারণার ফাঁদে ফেলে। গত ২২ এপ্রিল সাইফুল ইতালি যাওয়ার উদ্দেশে প্রতারক চক্রের দেওয়া বিমান টিকেট ও ভিসা নিয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রবেশ করে জানতে পারেন যে মাহবুব ও তার সঙ্গীদের দেওয়া ভিসাটি সম্পূর্ণ জাল।’
তিনি বলেন, ‘ভুক্তভোগীরা তৎক্ষণাৎ আসামিদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তাদের মোবাইল বন্ধ পায়। একপর্যায়ে প্রতারিত বাবা ও ছেলে তাদের কাছে টাকা ফেরত চাইলে চক্রের সদস্যরা ভুক্তভোগী ও তার পরিবারের সদস্যদের নানা ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদান করে। মামলার প্রেক্ষিতে আজ আসামি মাহবুবুর রহমানকে খিলক্ষেত থেকে গ্রেফতার করে সিআইডি। এই মামলার প্রধান আসামি জোসনা খাতুন এবং সহযোগী মিলন মিয়াকে গত ২৩ সেপ্টেম্বর ফরিদপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়। সিআইডি এই চক্রের অন্যান্য সদস্যদের শনাক্ত ও গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত রেখেছে।’