নরসিংদী: নরসিংদী-২ (পলাশ) আসনের নির্বাচনি এলাকায় জামায়াতের সভায় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের হামলায় জামায়াত-শিবিরের ৩০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন দলটির প্রার্থী আমজাদ হোসাইন। ঘটনার পর থেকে জামায়াতের তিন নেতাকর্মী নিখোঁজ বলেও দাবি করেন তিনি।
বুধবার (৩ ডিসেম্বর) রাত ৯টার দিকে নরসিংদী শহরের ব্রাহ্মন্দীতে জেলা জামায়াত কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন তিনি।
এর আগে, বুধবার সন্ধ্যায় মেহেরপাড়া ইউনিয়নের শেখেরচর বাসস্ট্যান্ডে আয়োজিত সভায় ইউনিয়ন তাঁতীদল নেতা বখতিয়ার হোসেন বখতিয়ারের নেতৃত্বে এ হামলা হয় বলে অভিযোগ। আহতদের মধ্যে সাত জনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এ হামলার প্রতিবাদে রাত ৮টার দিকে জেলা শহর ও পলাশে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন জামায়াতের নেতাকর্মীরা।
সংবাদ সম্মেলনে জামায়াতের দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের প্রার্থী ও জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা আমজাদ হোসাইন জানান, শুরু থেকেই বিএনপির কিছু নেতাকর্মী ওই সভায় বাধা সৃষ্টি করছিলেন। তার বক্তব্য চলাকালে মঞ্চের পেছনে গিয়ে গালিগালাজও করেন তারা। স্থানীয় লোকজনের হস্তক্ষেপে প্রথমে তারা সেখান থেকে সরে গেলেও সভা শেষে ফের ৭০/৮০ জন বিএনপির নেতাকর্মী দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এতে ৩০ জন নেতাকর্মী আহত হয়। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এর মধ্যে ৭ জনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
মেহেরপাড়া ইউনিয়ন তাঁতীদলের নেতা বখতিয়ার হোসেন, যুবদল নেতা ইফতিখার আলম, শাহরিয়ার, সিয়ামসহ অন্তত ৪০ জন এ হামলা করে বলে জানান তিনি।
পুলিশের কাছে নিরাপত্তা চাওয়া হলেও মাধবদী থানা পুলিশ বিষয়টি গুরুত্ব দেয়নি বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
এদিকে এসব হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে উল্টো জামায়াতের হামলায় বখতিয়ার হোসেন গুরুতর আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন মেহেরপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুর রশিদ মিয়া।