ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে বহিষ্কৃত যুবদল নেতা আল জাবের ওরফে জাবেদ আহমেদের বহিষ্কারাদেশ ঘিরে দিন শেষে নাটকীয় পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বুধবার (৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় তার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে কেন্দ্রীয় যুবদল। কিন্তু রাত ১০টার দিকে আবার নতুন বিজ্ঞপ্তি দিয়ে তার বহিষ্কারাদেশ বহাল রাখা হয়।
জানা যায়, বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের কয়েক ঘণ্টার মাথায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জাবেদের একটি পুরোনো ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। ওই ভিডিওতে তাকে আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিতে এবং ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিতে দেখা যায়। এরপরই তার বহিষ্কারাদেশ বহাল রাখার নতুন সিদ্ধান্ত জানায় কেন্দ্রীয় যুবদল।
আল জাবের ওরফে জাবেদ আহমেদ পত্তন ইউনিয়নের বাসিন্দা। তিনি উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন। ২০২৪ সালের ৫ জুন বিজয়নগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে অংশ নিয়ে জয়ী হন। দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কারণে তাকে যুবদল থেকে বহিষ্কার করা হয়। নির্বাচনের পর থেকে তিনি আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সভা–সমাবেশে নিয়মিত যোগ দিচ্ছিলেন বলেও জানা যায়।
ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, বিজয়নগর উপজেলা আওয়ামী লীগের আয়োজিত প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন জাবেদ। সেখানে তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীকে নিজের ‘অভিভাবক’ উল্লেখ করেন এবং বক্তব্য শেষে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেন।
বুধবার সন্ধ্যায় যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহদফতর সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম ভূঁইয়ার সই করা এক চিঠিতে জাবেদসহ কয়েকজনের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়। তবে ভিডিওটি প্রকাশের পর রাত ১০টার দিকে তারই সই করা আরেক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়—ভুলবশত জাবেদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছিল, তা বহাল থাকবে।
এ বিষয়ে মিনহাজুল ইসলাম ভূঁইয়ার সঙ্গে যোগাযোগ কো হলে তিনি জানান, ‘ভুল হয়েছিল, আমাদের তথ্যের একটু ঘাটতি ছিল। তার (জাবেদ) বহিষ্কারাদেশ বহাল থাকবে।’