Thursday 04 Dec 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

কলাপাড়ায় কৃষক পরিবারের ওপর শ্রমিক দল নেতার তাণ্ডব, আহত ৬

ডিস্ট্রিক করেসপন্ডেন্ট
৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৪:৫১

৯৯৯–এর মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। ছবি: সারাবাংলা

পটুয়াখালী: কলাপাড়া উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের হাকিমপুর গ্রামে মাছের ঘের নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে কৃষক পরিবারের ওপর অতর্কিত সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে স্থানীয় শ্রমিকদল নেতা ফরিদ চৌকিদারের নেতৃত্বাধীন একটি দল। বুধবার (৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় এ ঘটনায় আহত হয়েছেন একই পরিবারের ছয়জন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বেড়িবাঁধের বাইরে অবস্থিত একটি ছোট মাছের ঘের দীর্ঘদিন ধরে ভোগ করে আসছিলেন আলমগীর মুসুল্লি। গত পরশু ঘেরটির মাছ নিয়ে যাওয়াকে কেন্দ্র করে আলমগীরের সঙ্গে স্থানীয় নূরজামাল হাওলাদারের বাকবিতণ্ডা হয়। এর জেরে বুধবার সন্ধ্যায় শ্রমিক দল নেতা ফরিদ চৌকিদার, স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা রাজিব, যুবদল নেতা নাজমুলসহ ১৫–২০ জনের একটি দল কৃষক পরিবারের ওপর হামলা চালায়। এ সময় হামলাকারীরা ঘরের বিদ্যুতের মিটার ভাঙচুরসহ ঘরে লুটপাটও করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

বিজ্ঞাপন

ভুক্তভোগী আলমগীর মুসুল্লি জানান, ‘আমাদের তাদের সঙ্গে কোনো শত্রুতা ছিল না। নূরজামাল হাওলাদার টাকা দিয়ে ওদের ভাড়া করে আমাদের ওপর হামলা করিয়েছে। আমরা সুষ্ঠু বিচার চাই।’

এ ঘটনায় আলমগীর মুসুল্লি, তার স্ত্রী ময়না বেগম, দুই ছেলে হাসান ও হাবিব, এবং ভাই আল-আমিন আহত হন। জানা গেছে—হাসান, হাবিব ও ময়না বেগমের মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

আহত হাসান বলেন, ‘আমরা শুধু ঘের থেকে মাছ নিয়ে যাওয়ার বিষয়টা জানতে চেয়েছিলাম। কিন্তু, তারা পরিকল্পিতভাবে দল বেঁধে এসে আমাদের মারধর করেছে, ঘরও ভাঙচুর করেছে।’

হাবিব বলেন, ‘সেদিন বিকেলেই তারা আমাদের হুমকি দিয়েছিল। পরে সন্ধ্যায় এসে হামলা চালায়। আমরা এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।’

স্থানীয়দের অভিযোগ, ৫ আগস্টের পর থেকে ফরিদ চৌকিদার এলাকায় নানা অনিয়মে জড়িয়ে পড়েছেন এবং তার বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসাসহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন জানান, ফরিদ বিভিন্ন জায়গায় টাকার বিনিময়ে ‘বাহিনী’ নিয়ে মারামারি করে থাকে।

অভিযোগ অস্বীকার করে নূরজামাল হাওলাদার বলেন, ‘এসব বিষয়ে আমি কিছুই জানি না।’

অভিযুক্ত ফরিদ চৌকিদার বলেন, ‘আমি মারধর করিনি। মারামারির ঘটনা শুনে ছাড়াতে গেছি। এসময় আমিও মারধরের শিকার হয়েছি।’ টাকা নিয়ে মারধরের বিষয়টিও তিনি এড়িয়ে যান।

নীলগঞ্জ ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক। জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।

কলাপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জুয়েল ইসলাম বলেন, ৯৯৯–এর মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছে। এ ঘটনায় মামলা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।

সারাবাংলা/জিজি
বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর