বগুড়া: বগুড়ার শেরপুর উপজেলার ছোনকা এলাকায় নাবিল হাইওয়ে হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টের সামনের ঝুঁকিপূর্ণ ইউটার্ন যেন দুর্ঘটনার ফাঁদ। প্রতিদিনই এই স্থানে বড় ধরনের দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে পথচারী, রিকশা-ভ্যান, মোটরসাইকেল আরোহীসহ সব রকমের যানবাহনগুলোকে। হাইওয়ে সড়কের এই ঝুঁকিপূর্ণ ইউটার্নটি বন্ধের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
জানা যায়, নাবিল হাইওয়ে হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টের সামনে থাকা ওই ইউটার্নটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। হাইওয়ে সড়কের দ্রুতগতির কোচগুলো হঠাৎ করে ইউটার্ন নেওয়ায় পাশের গ্রামগুলোর মানুষজন রিকশাভ্যান বা মোটরসাইকেল নিয়ে রাস্তা পার হতে গেলে ঝুঁকির মুখে পড়তে হয়। কিছুদিন আগে সেনাবাহিনীর একজন সদস্য রাস্তা পারাপারের সময় এই ইউটার্নে দুর্ঘটনার শিকার হয়ে প্রাণ হারান। এরপরও পরিস্থিতির কোনো পরিবর্তন হয়নি।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বুধবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুরে হাইওয়ে সড়কের এই ঝুঁকিপূর্ণ ইউটার্নটি বন্ধের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ উদ্যোগ নিলেও নাবিল হাইওয়ে হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টের কিছু কর্মচারীর বাধার মুখে রাস্তা সংস্কারের কাজ বন্ধ রাখা হয়। এতে করে ক্রমেই বাড়ছে সাধারণ মানুষের ক্ষোভ ও হতাশা।
এলাকাবাসীর দাবি, ইউটার্নটি অবিলম্বে স্থায়ীভাবে বন্ধ করতে হবে। আর ইউটার্ন বন্ধ না করা পর্যন্ত প্রশাসনের একজন দায়িত্বপ্রাপ্ত লোককে সেখানে সার্বক্ষণিক থাকতে হবে, যেন দুর্ঘটনা অন্তত কমে আসে। ছোনকা বাজারের আন্ডারপাস দিয়ে নিরাপদে গাড়ি পারাপারের সুযোগ থাকা সত্ত্বেও এই ঝুঁকিপূর্ণ ইউটার্ন চালু রাখা কোনোভাবেই যৌক্তিক নয়। এলাকাবাসী দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য হাইওয়ে কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
হাইওয়ে পুলিশের বগুড়া রিজিয়নের পুলিশ সুপার (অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) শহিদ উল্লাহ জানান, ‘ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের ছোনকা ও চান্দাইকোনাসহ বিভিন্নস্থানে যত্রতত্র ইউটার্ন তৈরি করা হয়েছে। এছাড়া সড়কের রোড ডিভাইডার কেটে হোটেল এবং ফিলিং স্টেশনে প্রবেশ করার পথ তৈরি করা হয়েছে। বাধ্য করা হচ্ছে নিজেদের প্রতিষ্ঠানে গাড়ি প্রবেশের জন্য। যে কারণে সড়কে নিয়ম-শৃঙ্খলা বিঘ্নিত হচ্ছে। একই সঙ্গে যানজট ও প্রাণহানিসহ মহাসড়কে দুর্ঘটনা বেড়েই চলেছে। মহাসড়কে দুর্ঘটনা ঘটলে হাইওয়ে পুলিশকে দায়ী করা হচ্ছে। হোটেল এবং ফিলিং স্টেশন ব্যবসায়ীরা সড়ক বিভাগকে ম্যানেজ করে ইউটার্ন ও ডিভাইডার কেটে গাড়ি প্রবেশ করার পথ সৃষ্টি করে নিয়েছে। এসব কারণে বছরে দুই ঈদে উত্তরাঞ্চলের যাত্রীদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়। যার ফলে হাইওয়ে পুলিশ মহাসড়ক নিরাপদ রাখতে হিমশিম খাচ্ছে। নিরাপদ মহাসড়ক গড়ে তুলতে হলে ওসব স্থাপনা সরিয়ে নিতে হবে।