ঢাকা: ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিএসএফ’র গুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহতের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।
বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় গণমাধ্যমকে পাঠানো বিবৃতিতে এ নিন্দা জানায় দলটি।
বিবৃতিতে দলটি বলেছে, সীমান্তে বাংলাদেশি নাগরিকদের ওপর বিএসএফের এ ধরনের গুলি চালানো আন্তর্জাতিক আইন, মানবাধিকার নীতি ও কূটনৈতিক সম্পর্কের পরিপন্থী। এ ধরনের ঘটনা একেবারেই অগ্রহণযোগ্য।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, শুধু সাম্প্রতিক এই দুই হত্যাকাণ্ডই নয়, অতীতের সব সীমান্ত হত্যারও সুষ্ঠু, স্বচ্ছ, গ্রহণযোগ্য ও স্বাধীন তদন্ত প্রয়োজন। দলটির মতে, দীর্ঘদিন ধরে সীমান্তে ভারতীয় বাহিনীর অপরাধমূলক আচরণ বন্ধে ভারত সরকারকে অবিলম্বে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
নিহতদের পরিবারকে আইনি সহায়তা ও সর্বতোভাবে পাশে দাঁড়ানোর জন্য সরকারকে উদ্যোগী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে দলটি। পাশাপাশি ভারত সরকারের কাছ থেকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ দাবিরও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোর দৃষ্টি আকর্ষণ করে এনসিপি বলেছে, আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে নিরস্ত্র মানুষের ওপর গুলি চালানো একটি অমানবিক অপরাধ। এমন অপরাধ যাতে আর কেউ করতে না পারে, সেজন্য বৈশ্বিক মানবাধিকার প্রতিষ্ঠানগুলোর হস্তক্ষেপ জরুরি।
এনসিপি জানায়, দলটি প্রতিবেশী সব দেশের সঙ্গে ভারসাম্যপূর্ণ ও মর্যাদাপূর্ণ সম্পর্ক এবং জনগণের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ যোগাযোগ বজায় রাখতে বিশ্বাসী। তবু সীমান্তে অব্যাহত হত্যাকাণ্ড এ সম্পর্কের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ফেলানি হত্যাকাণ্ডসহ অতীতের নৃশংস সীমান্ত হত্যাগুলোর ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা গেলে ভবিষ্যতে এ ধরনের পুনরাবৃত্তি ঠেকানো সম্ভব হতো। তাই বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান, সব সীমান্ত হত্যা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করে সেগুলো আন্তর্জাতিক মহলের সামনে উপস্থাপন করা হোক।
জাতীয় নাগরিক পার্টি আশা করে, সীমান্তে নিরাপত্তা বাহিনীর দায়িত্ব পালনের নামে সাধারণ নাগরিকদের প্রাণহানি বন্ধে সংশ্লিষ্ট সবপক্ষ দ্রুত ও কার্যকর উদ্যোগ নেবে।