চট্টগ্রাম: বিভিন্ন বিভাগীয় শহরে অনুষ্ঠিত কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় চট্টগ্রামে জামায়াতে ইসলামের নেতৃত্বাধীন আট দলের সমাবেশ শুরু হয়েছে। সমাবেশকে কেন্দ্র করে নগরীর লালদিঘী ময়দানসহ আশপাশের এলাকা লোকে লোকারণ্য হয়ে গেছে।আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে জামায়াতে ইসলামির আমির ডা. শফিকুর রহমান সমাবেশ মঞ্চে উপস্থিত হন। তিনি জনতার উদ্দেশ্যে হাত নেড়ে অভিবাদন জানান। এসময় স্লোগানে-স্লোগানে মুখর হয়ে উঠে পুরো ময়দান।
সমাবেশে আট দলের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন- ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশের আমির মামুনুল হক, নেজামে ইসলাম পার্টির আমির সরওয়ার কামাল আজিজী, খেলাফত মজলিশের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের, জাগপার সহ-সভাপতি রাশেদ প্রধান, খেলাফত আন্দোলনের আমির হাবীবুল্লাহ মিয়াজী এবং বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির চেয়ারম্যান এ কে এম আনোয়ারুল ইসলাম চান।

মঞ্চে আট দলের শীর্ষ নেতারা। ছবি: সারাবাংলা
এর আগে সকাল থেকে সমাবেশ মঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। জুমার নামাজের পর দুপুর থেকে মিছিল আসতে থাকে লালদিঘী মাঠের দিকে। বাসসহ বিভিন্ন পরিবহনে বিভাগের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে নেতাকর্মীরা দলে দলে এসে সমাবেশে যোগ দিয়েছেন। দুপুরের মধ্যেই সমাবেশস্থল কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়।
সমাবেশ উপলক্ষ্যে ৩০০ মাইক লাগানো হয়েছে। নগরীর লালদিঘী মাঠ থেকে উত্তরে আন্দরকিল্লা চসিক কার্যালয়, সিনেমা প্যালেস হয়ে তিন পোলের মাথা, দক্ষিণে কোতোয়ালীর মোড় থেকে নিউমার্কেট পর্যন্ত এবং শাহ আমানত মাজার হয়ে আনসার ক্লাব পর্যন্ত এলাকায় এসব মাইক লাগানো হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ ১৩টি স্পটে বড় পর্দায় সমাবেশের কার্যক্রম প্রচারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সমাবেশকে সুশৃঙ্খল রাখতে প্রায় ২ হাজার স্বেচ্ছাসেবক নিয়োজিত আছেন।
জুলাই সনদ বাস্তবায়নে জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট আয়োজন, জাতীয় সংসদের উভয়কক্ষে পিআর পদ্ধতি চালু, জাতীয় নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত, আওয়ামী লীগের গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান এবং আওয়ামী লীগের সব অপকর্মের সহযোগী জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণার দাবিতে এ সমাবেশ করা হচ্ছে।