রাজবাড়ী: আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠছে রাজবাড়ীর পেঁয়াজের বাজার। এতে বিপাকে পড়েছেন ক্রেতারা। তাদের অভিযোগ, প্রশাসনের নজরদারির অভাবে বাজারে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে।
এদিকে ব্যবসায়ীরা জানান, হঠাৎ করে উৎপাদন এলাকাগুলো থেকে পেঁয়াজ আসা কমে গেছে। প্রতিবছর এ সময় বাজারে মুড়িকাটা পেঁয়াজ চলে আসলেও এবার এখনো পর্যাপ্ত পরিমানে আসেনি। এসব কারণে পাইকারি ও খুচরা বাজারে এর প্রভাব পড়েছে।
শনিবার (৬ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজবাড়ী শহরের বড় বাজারে খোঁজ নিয়ে এসব তথ্য জানা গেছে।
বড় বাজার ঘুরে দেখা গেছে পুরাতন ভালো পেঁয়াজ প্রতিকেজি ১৪০টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া পুরাতন মাঝারি ও ছোট পেঁয়াজ ১২০ থেকে ১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। নতুন পেঁয়াজ ৯০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
পেঁয়াজের বাজার মাসখানেক আগেও হঠাৎ অস্থির হয়ে ওঠে। তখন প্রতিকেজির দর ওঠে ১০০ থেকে ১১০ টাকায়। এরপর সরকার আমদানির অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলে দর কিছুটা কমতে থাকে। ধীর ধীরে কমে ৮০ থেকে ৯০ টাকায় নেমে আসে।
ক্রেতা রেজাউল বলেন, ‘পেঁয়াজ নিয়ে নৈরাজ্য চলছে। বাজারে পেঁয়াজ থাকার পরও বিক্রেতারা এক মাস ধরে বাড়তি দামে বিক্রি করছে। আজ এসে দেখি এক লাফে ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, এসব দেখার কেউ নেই।’
ব্যবসায়ী মান্নান বলেন, উৎপাদন অঞ্চল থেকে সরবরাহ কমে যাওয়ায় পাইকারি বাজারেই দাম বাড়ছে, যা দ্রুত প্রভাব ফেলেছে খুচরা বাজারে। মুড়িকাটা নতুন পেঁয়াজ আসতে শুরু করেছে। যদিও সেটা পরিমাণে খুব অল্প। আমদানি হলে দাম কমে আসবে।
অন্যদিকে, বাজারে সরবরাহ বাড়তে থাকায় শীতের সবজিসহ সকল সবজির দাম অনেকটা কমেছে।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর রাজবাড়ী জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক (অ.দা.) মো. মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘শীতের সবজিসহ সব ধরণের সবজির দাম অনেকটা কমেছে। পেঁয়াজের দামটা বৃদ্ধি পেয়েছে। মুড়িকাটা নতুন পেঁয়াজ বাজারে আসতে শুরু করেছে। যদিও সেটা পরিমাণে খুব অল্প। কিছু দিনের ভেতর নতুন পেয়াজের আমদানি বাড়বে, দামও স্বাভাবিক হয়ে আসবে। তারপরেও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম যেন স্বাভাবিক থাকে এবং নিয়ন্ত্রণের মধ্যে থাকে সে লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। আর্থিক জরিমানাসহ অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে।’