Saturday 06 Dec 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

নারী নির্যাতন মামলার বাদিকে হয়রানির অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে

স্পেশাল করেসপডেন্ট
৬ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৬:৫৭

প্রতীকী ছবি।

বগুড়া: বগুড়ার ধুনট উপজেলার খাটিয়ামারি গ্রামে এক নাবালিকাকে নির্যাতনের অভিযোগে দায়ের করা মামলার বাদি মোছা. মমতা খাতুনকে গভীর রাতে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে ধুনট থানা পুলিশের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় মোছা. মমতা খাতুন অভিযোগ করে বলেন, পুলিশ তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে হয়রানি করার চেষ্টা করছেন।

জানা যায়, মমতা খাতুনের ১২ বছর বয়সী মেয়েকে প্রতিবেশীর ছেলে মো. লাল মিয়া রাজিব বেশ কিছুদিন ধরে উত্যক্ত করছিল। বিষয়টি গ্রামের গন্যমান্য ব্যক্তিদের জানিয়ে বিচার চান তিনি। কিন্তু তাতেও অভিযুক্ত লাল মিয়া রাজিরের কোনো পরিবর্তন হয়নি। এক পর্যায়ে গত ৩ অক্টোরব মমতা খাতুন ও তার স্বামী শাহ আলমের অনুপস্থিতির সুযোগে বাড়িতে প্রবেশ করে রাজিব। এরপর ধারলো অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে তাদের মেয়েকে ধর্ষন করার পর অপহরন করা হয়।

বিজ্ঞাপন

এ ঘটনায় মমতা খাতুন থানায় মামলা করতে গেলে তাকে কোর্টে মামলা করার পরামর্শ দেওয়া হয় পুলিশ। পুলিশের পরামর্শ অনুযায়ী তিনি গত ৭ অক্টোবর বগুড়ায় আদালতে মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি রেকর্ড করার জন্য ধুনট থানায় পাঠায়। এ ঘটনার পর ধুনট থানা থেকে মামলার বাদিকে মোবাইল ফোনে থানায় যেতে বলেন এক পুলিশ কর্মকর্তা। কিন্তু মমতা খাতুন পরদিন যেতে চাইলে ওইদিন রাত ২টার দিকে পুলিশ এসে তাকে থানায় নিয়ে যায়। এরপর পরের দিন বিকেলে ছেড়ে দেয়।

মোছা. মমতা খাতুন জানান, তাকে থানায় নিয়ে যাবার পর এক পুলিশ কর্মকর্তা দূর্ব্যবহার করেন। তাকে গাছের সাথে বেঁধে রাখার হুমকি দেওয়া হয়। তিনি বলেন, তার বাড়িতে মাদক আছে এ অভিযোগে বেশ কয়েকজন পুলিশ তার বাড়িতে আসে। পরে খড়ের গাদার নিচে তল্লাশি চালানো হয়।

লাল মিয়া রাজিব জানান, ‘আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ মিথ্যা। মমতা খাতুনের মেয়ের সঙ্গে আমার বিয়ে হয়েছে দুই মাস হলো। পরে আমার বিরুদ্ধে মামলা হলে পুলিশ আমাকে গ্রেফতার করে। কারাগারে থাকার পর কয়েকদিন আগে জামিনে মুক্তি পেয়েছি।’

রাজিবেব বাবা মো. লালন মিয়া জানান, এ বিয়ের রেজিষ্ট্রি হয়নি।

পুলিশের এসআই হায়দার আলী জানান, আদালতের নির্দেশে মামলা রেকর্ড করার পর নিয়ম অনুযায়ী বাদির স্বাক্ষর লাগে আবেদনে। সে কারনে মমতা খাতুনকে থানায় আনা হয়।

বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মোঃ আসাদুজ্জামান জানান, এজাহারে স্বাক্ষর করার জন্য বাদি মমতা খাতুনকে থানায় আনা হয়। ২২ ধারায় জবানবন্দি নেওয়ার জন্য তাকে বসিয়ে রাখা হয়। তবে একজন সম্মানিত নাগরিককে এভাবে কষ্ট দেওয়া ঠিক হয়নি। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমান হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সারাবাংলা/আরটি/জিজি
বিজ্ঞাপন

রণবীরের ৫০ কোটি!
৬ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৬:৪৯

রাজবাড়ীতে পেঁয়াজের কেজি ১৪০
৬ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৬:৪২

আরো

সম্পর্কিত খবর